নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এতদিন বঞ্চনা ছিল বাংলার মানুষদের ওপর। তাদের পেটে লাথি মেরে দিল্লিতে মজা দেখছিল মোদি সরকার। বাংলায় সেই তালে তাল মিলিয়ে পা ঠুকছিল বামেরা। এবার বঞ্চনার খাঁড়া নেমে আসার উপক্রম হয়েছে বাংলার সংস্কৃতি তথা ঐতিহ্যবাহী নাট্য জগতে। কেন না কেন্দ্র সরকার ফরমান পাঠিয়েছে, মোদি বন্দনায় মাতুন, না হলে …। বার্তা পরিষ্কার,বাংলার নাট্য দলগুলি কেন্দ্রে আর্থিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে। পরিবর্তনের ১৩ বছর পরেও বাংলার নাট্য জগতে কিন্তু দাপট বজায় রেখেছে বামপন্থী নাট্য দলগুলি। সংখ্যার দিক থেকে তারাই এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ। অগ্যতা বিজেপির ভজনা করে যাওয়া বামপন্থীদের বাঙালি নাট্যকার, অভিনেতা, পরিচালক এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বার্তা, ‘ঠেলার নাম বাবাজি, কাকে বলে দ্যাখ এবার।‘
বাংলার নাট্য জগত কি এবার সত্যি বিপন্নের মুখে? এই প্রশ্নটা যেন উঠে আসছে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে। সম্প্রতি কেন্দ্রের মোদি সরকারের তরফ থেকে বাংলার ১৮ টি দলের কাছে পাঠানো হয়েছে একটি ছোট নাটিকা। যাকে মোদি বন্দনা বললেও ভুল হবে না । এই নিয়ে আগে সরব হয়েছিলেন নাট্যকার সুমন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, নাটকের মধ্যে কেন্দ্রের বন্দনা না হলে বন্দনা না থাকলে মিলবে না অনুদান। এবার সেই একই কথাই ফের তুললেন ব্রাত্য বসু।
মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে শিক্ষামন্ত্রী লেখেন,’ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, লোকসভা ভোটের আগে,পশ্চিমবঙ্গের সবকটি থিয়েটার দলকে এদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহিমাবাচক ও গুণকীর্তন করা একটি ছোট নাটিকা পাঠিয়ে বলেছেন, এর অভিনয় সর্বত্র করতে হবে। অস্যার্থে, অভিনয়টি না করলে কেন্দ্রের পাঠানো মোটা অনুদান ও ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গের থিয়েটার দলগুলি যেহেতু মূলত বামপন্থী সেকুলার, তাই আমরা আশা রাখতেই পারি, এই নির্লজ্জ প্রস্তাব তাঁরা সবাই ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবেন’। শুধু তাই নয় ব্রাত্য শেয়ার করা নাটকের প্রতিটি পাতায় উঠে এসেছে মোদির ব্যবহৃত ‘অখণ্ডতা’র মতন নানান শব্দ। এছাড়াও কেন্দ্রের সেই ছোট নাটিকায় রয়েছে স্বয়ং মোদির নামও।