নিজস্ব প্রতিনিধি: সারাবছর চূড়ান্ত ব্যস্ততা। কাজের চাপে দম ফেলার সময় নেই। শো, নানা অনুষ্ঠান, শ্যুটিং, বিজ্ঞাপন, ওয়েব সিরিজ-সিনেমা কিন্তু পুজোর কটাদিন আনন্দে ও একটু হাল্কা মুডে কাটাতে চান প্রত্যেক তারকাই। কেউ কেউ আবার পুজোতেই বাইরে চলে যান বেড়াতে মুড ফ্রেশের জন্য। কিন্তু বেশিরভাগ তারকার পছন্দ কলকাতাই। কারণ বাঙালি তো, তাই অনেক তারকার পছন্দ কলকাতাই। তাই পুজোর এই চারটে দিন কাজের মাঝেও হুল্লোড় ও আনন্দের সঙ্গেই কাটাতে ভালোবাসেন সকল তারকাই। আর বিবৃতির পুজোতে কলকাতায় থাকাটা মাস্ট কারণ বাড়িতেই রয়েছে দুর্গাপুজো। হাজরাতেই গোস্বামী ধামে বাড়ির পুজো। বাড়িতেই জমিয়ে পুজো হয় অভিনেত্রী বিবৃতি চট্ট্যোপাধ্যায়দের। তাই বাড়তি আনন্দ থাকে বিবৃতির। 
এই মুহূর্তের সঙ্গে চলতি বছরের পুজোর প্ল্যান শেয়ার করলেন অভিনেত্রী বিবৃতি চট্ট্যোপাধ্যায়। ফোনের ওপার থেকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি বাড়িতে সময় কাটাব। যেহেতু বাড়িতে পুজো, এছাড়া আমার বন্ধুদের বাড়িতে পুজো হয়। সেখানে যাব, এইভাবেই গোটা পুজো কাটবে আমার। কোনও কাজ নেই, ফাঁকা সময়। বন্ধু, পরিবার সকলের সঙ্গে সময় কাটাব।’ বাড়িতে পুজোর বয়স হয়েছে। দীর্ঘদিনের একটা রীতিতে পুজো হয়। সেই সম্পর্কে বিবৃতি জানিয়েছেন, ‘আমাদের বাড়ির পুজোতে বলির প্রথা নেই। পুরোটাই বৈষ্ণব ধর্ম মতে পুজো হয়। আমাদের বাড়ির পুজো ২১ বছরে পা দিল কলকাতায়। এখানে মূল বিশেষত্ব চালচিত্র। ২০০৭ সাল অবধি বাড়ির সদস্যরাই চালচিত্র আঁকার কাজ করত। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকে শিল্পীদের দিয়ে আঁকাই। এবছরে আমাদের বাড়ির দুর্গা পুজোর চালচিত্র এঁকেছেন শৌভিক দাঁ। বিষ্ণুর দশ অবতারের সঙ্গে শিব ঠাকুর থাকে চালচিত্রে। অতি যত্ন সহকারে আঁকা হয়।’
কিন্তু কিছুটা আক্ষেপ রয়েছে বিবৃতির। কারণ কোভিড-১৯-এর কারণে বাড়ির পুজোতে কমেছে লোকের আনাগোনা। এবছরেও কিছুটা বাধ সাধবে। কিন্তু অনেকেই টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন তাই কিছুটা ছাড় পাওয়া যাবে বলে আশা বিবৃতির। তিনি জানিয়েছেন, ‘বাড়িতে সিঁদুর খেলাটা জমিয়ে পালন করা হয়। ওটা হবেই। সঙ্গে ধুনুচি নাচ ঢাকের তালে। খাওয়া-দাওয়া রয়েছে।’ কিন্তু বিবৃতি নিজের ডায়েট নিয়ে খুবই সাবধানি। তিনি জানিয়েছেন, ‘এবছরে কড়া ডায়েটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।’ পুজোতেই বিবৃতি নিজের অনুরাগীদের উপহার দিয়েছেন ‘ এলো রে দুগগা এলো রে।’ আপাতত প্রত্যেক মণ্ডপে ও টেলিভিশনে হিট লিস্টে রয়েছে এই গান।
