নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ১২ নভেম্বর প্রথম সন্তানকে স্বাগত জানান বলিউডের অন্যতম পাওয়ারফুল দম্পতি বিপাশা বসু এবং করণ সিং গ্রোভার। ৪৩ বছে মা হওয়ার স্বাদ রীতিমতো স্বর্গতুল্য ছিল অভিনেত্রীর কাছে। কন্যা দেবীর মা-বাবা এখন বিপাশা-করণ। অন্যান্য তারকাদের মতো ট্রেন্ডে না ভেসে কন্যার কয়েক মাস বয়সের মধ্যে তাঁর মুখ প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁরা। যদিও কন্যা হওয়ার অনেক আগেই অভিনয় থেকে বিরতি নেন বলিউডের ব্রাউনি সুন্দরী। মাঝে মধ্যেই মেয়ের সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্তের ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন অভিনেত্রী। কিন্তু সম্প্রতি অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর কন্যা দেবী মারাত্মক রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। গতকাল বিপাশা ইনস্টাগ্রামে নেহা ধুপিয়ার সঙ্গে একটি লাইভ চ্যাটে প্রকাশ করেছেন যে, দেবী যখন জন্মগ্রহণ করেছে তখন থেকেই সে ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট (ভিএসডি) রোগে ভুগছে। তাঁর হৃদয়ে দুটি ছিদ্র রয়েছে।
এদিন এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিপাশা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। মাত্র তিন মাস বয়সেই দেবীর অস্ত্রোপচার হয়। মাতৃত্বের যাত্রা সম্পর্কে বলতে গিয়ে, বিপাশা বলেন, “আমাদের যাত্রা যে কোনও সাধারণ মা-বাবার থেকে অনেক আলাদা ছিল, আমার মুখে এই মুহূর্তে যে হাসি আছে তা নিছকই আমার সন্তানের জন্য, যা আনতে আমাদের অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আমি চাই না কোন মায়ের সঙ্গে এমন হোক। আমি আমার সন্তান জন্মের তৃতীয় দিন পরে জানতে পারি যে আমাদের শিশু হৃদয়ে দুটি ছিদ্র নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। আমি ভেবেছিলাম আমি এটা শেয়ার করব না, কিন্তু আমি এটা শেয়ার করছি কারণ আমি মনে করি যে অনেক মা আছেন, যারা আমাকে এই যাত্রায় সাহায্য করেছেন।”
তিনি আরও যোগ করেছেন, “আমরা ভিএসডি কী তাও বুঝতে পারিনি। এটা ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট। আমাদের তখন পাগলের মতো অবস্থা হয়েছিল। আমরা আমাদের পরিবারের সঙ্গেও এটি নিয়ে আলোচনা করিনি, আমরা দুজনেই কিছুটা অস্পষ্ট ছিলাম। প্রথম পাঁচ মাস আমাদের জন্য খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু দেবী প্রথম দিন থেকেই অসাধারণ। আমাদের বলা হয়েছিল যে প্রতি মাসে, এটি নিজে থেকে নিরাময় হয়ে যাবে। কিন্তু তাঁর যে ধরনের বড় গর্ত ছিল, তার জন্য দেবীর অস্ত্রোপচার করতেই হত।” বিপাশা আবেগপ্রবণ হয়ে আরও বলেন, “প্রথম মাসে, এটি ঘটেনি, দ্বিতীয় মাসে, ঘটেনি। এবং আমার মনে আছে তৃতীয় মাসে, যখন আমরা স্ক্যান করতে গিয়েছিলাম, তখন আমরা একাধিক সার্জনদের সঙ্গে দেখা করি, হাসপাতালে যাই, ডাক্তারদের সঙ্গে কথা কথা বলে দেবীর অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুত হই। কারণ আমরা সঠিক সময়ে তাঁর ক্ষত নিরাময় করতে চেয়েছিলাম।”