নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন বলিউডের অসংখ্য সুপারহিট ছবির অবিস্মরণীয গানের গীতিকার দেব হোহলি। শনিবার সকালে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চির ঘুমের দেশে ঢলে পড়েন ৮১ বছর বয়সী গীতিকার। বার্ধক্যজনিত কারণে দীঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ‘বাজিঘর’, ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’, ‘হাম আপকে হ্যায কৌন’-সহ ১০০টির বেশি ছবির গীতিকারের মৃত্যুসংবাদে শিল্পীমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৯৪২ সালের ২ নভেম্বর অবিভক্ত পঞ্জাবের রাওযালপিন্ডিতে (অধুনা পাকিস্তানে) এক শিখ পরিবারে জন্ম দেব কোহলির। দেশভাগের সময়ে বাবা-মায়ের হাত ধতরে চলে আসেন দেহরাদুনে। শ্রীগুরু নানক দেব গুরু মহারাজ কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পরেই পেশার সন্ধানে চলে আসেন মুম্বইতে। ১৯৬৪ সাল থেকে টানা পাঁচ বছর এক কঠোর জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। অবশেষে ১৯৬৯ সালে বলিউডের দরজা খুলে যায় তাঁর কাছে। ‘গুন্ডা’ ছবির গান লেখার দায়িত্ব পান। তবে গীতিকার হিসেবে প্রথম তাঁকে স্বীকৃতি এনে দিয়েছিল ‘লালপাথর’ ছবিটি। ওই ছবিতে তাঁর লেখা কিশোর কুমারের গাওযা ‘গীত গাতা হুঁ ম্যায়’ শ্রোতাদের মন জয় করে নেয়।
তার পরে আর পিছনের দিকে তাকাতে হয়নি দেব কোহলিকে। সলমন খানের ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ‘বাজিঘর’ ছবির সুপার-ডুপারহিট গান তাঁর কলম থেকেই বেরিয়েছে। অন্য ধারার গান লেখার জন্য পরিচিত ছিলেন দেব কোহলি। স্বর্ণযুগের সুরকার শঙ্কর-জয়কিষেণ থেকে শুরু করে হাল আমলের বিশাল-শেখরদের সঙ্গো জুটি বেঁধে হিন্দি গানের শ্রোতাদের আবিস্মরণীয গান উপহার দিয়েছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে গত কয়েক মাস ধরেই মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার। শনিবার পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে।