নিজস্ব প্রতিনিধি: অভিনেতা সানি দেওলের সঙ্গে নির্মাতা সুনীল দর্শনের দ্বন্দ্ব আজকের নয়, অনেক পুরাতন। সম্প্রতি তিনি ফের এই বিষয়ে মুখ খুললেন। সালটা ১৯৯৬, যখন চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতা সানি দেওল একটি আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে রয়েছেন আজও। আসলে সুনীল দর্শনের পরিচালনায় ‘অজয়’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সানি দেওল। এই ছবির বিষয়েই একটি নতুন সাক্ষাৎকারে, সুনীল অভিযোগ করেছেন যে, সানি তাঁকে ‘বোকা’ বানিয়ে প্রতারণা করেছিলেন। কারণ সানি ছবিটি পুরোটা করলেও শেষের দিকে শ্যুটিং শেষ করতে অস্বীকার করেছিলেন। অর্থাৎ অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই তিনি ছবিটি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এবং সানি দেওল পরামর্শ দিয়েছিলেন, পরিচালক যেন ছবিটির শেষটা কেটে ছবিটি মুক্তি দেয়। তবে ছবিটি বক্সঅফিসে খুব একটা রোজগার করতে পারেনি।
বলিউড হাঙ্গামার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, সুনীল বলেছিলেন, “সানি দেওলের বিশাল অহংকার। ২৬ বছর পরে, তাঁর সঙ্গে আমার মামলা এখনও চলছে। এই ছবির পুরো টাকা নিয়েও ছবিটি শেষ করেন নি তিনি। সানি প্রথমে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে বলে তাঁর কাছে টাকা নেই, তাই তাঁকে নিয়ে একটা ছবি করতে। এই নিয়ে বিষয়টা আইন পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, ভারুচার সামনে সানি এই বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। তখনই সানি বলেছিলেন, আমার কাছে টাকা নেই। তাই তিনি আমার জন্য একটি চলচ্চিত্র করবেন। তবে আমি ববির সঙ্গে ব্যাক-টু-ব্যাক তিনটি সিনেমা করেছি। তাঁর সঙ্গে আমার কোনো ক্ষোভ ছিল না। আমি ভেবেছিলাম ভুল করার পর যে কেউ অনুতপ্ত হবে। কিন্তু, সানি আমাকে বোকা বানিয়েছে।”
এরপর সুনীল দর্শন আরও জানান, সানি তাঁদের চুক্তি অনুযায়ী আইনজীবীরা তাঁকে একটি নোটিশ পাঠালে, সানির আইনি দল বলে যে, অভিনেতা এখনও চলচ্চিত্রটি করতে অনুমোদন দেয়নি। সেই মামলা আজও ২৬ বছর ধরে অব্যাহত। সুনীল দর্শনের পরিচালনার শেষ উদ্যোগ ছিল ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘এক হাসিনা থি এক দিওয়ানা থা’, যেখানে শিব দর্শন এবং নাতাশা ফার্নান্ডেজ অভিনয় করেছিলেন।