নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডের কিংবদন্তি তারকাদের মধ্যে অন্যতম সেরা নাম ধর্মেন্দ্র। কয়েক যুগ ধরেই বলিউডে রাজ করে চলেছেন এই তারকা। ৭০-৮০ র দশক থেকেই বলিউডে রাজত্ব তাঁর। নিজের সুদক্ষ অভিনয়ের বলে গোটা বিশ্বে লাখ লাখ ভক্তসংখ্যা অর্জন করে নিয়েছেন এই অভিনেতা। সবার কাছেই ধর্মেন্দ্র একজন কিংবদন্তি অভিনেতা হিসেবেই খ্যাত। কিন্তু তাঁর এই সফলতার পথ একেবারেই মসৃণ ছিলনা। অনেক স্ট্রাগল করে আজ তিনি বিশ্বমানের তারকা। নিঃসন্দেহে বলিউডের একজন প্রতিভাবান এবং সম্মানিত অভিনেতা তিনি। আগামিকাল প্রবীণ অভিনেতার ৮৮ তম জন্মদিন।
৯০ ছুঁই ছুঁই অভিনেতার বয়স হলেও, তাঁর মন এখনও তরুণ। শুধুমাত্র অভিনয় দক্ষতাই নয়, তিনি বলিউডের অন্যতম সুপারস্টারদের মধ্যেও একজন। যাইহোক, আপনি কি জানেন, ধর্মেন্দ্র জীবনে এমন এক পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছিলেন যখন তিনি একজন অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন চিরকালের মতো ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন? ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনের নতুন প্রতিভা পুরষ্কারের বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। তারপরেই একটি ছবিতে তাঁকে সুযোগ করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ধর্মেন্দ্র পঞ্জাব থেকে মুম্বই ভ্রমণ করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা ঘটেনি। কারণ ওই সিনেমাটি কখনও তৈরিই করা হয়নি। হতাশ, অভিনেতা তখন এই অজানা দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেন।
সেই দিনগুলিতে, ধর্মেন্দ্র অভিনেতা মনোজ কুমারের সঙ্গে দেখা করতেন। এরপরই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে ওঠে। ধর্মেন্দ্র এবং মনোজ কুমার রুমমেট ছিলেন। কিন্তু এক সময়ে ধর্মেন্দ্র তাঁর এই অভিনয় সফর ছেড়ে দিয়ে পাঞ্জাবে ফিরে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন। সেই সময়, মনোজ কুমার ধর্মেন্দ্রকে উৎসাহিত করেছিলেন। অনেক চেষ্টা করে তিনি ধর্মেন্দ্রকে আরও এক মাস থাকতে রাজি করিয়ে ছিলেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই ধর্মেন্দ্র প্রথম ব্রেক পান। একই বছরে অর্জুন হিঙ্গোরানীর ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন অভিনেতা। ব্যস, আর পিছু ফিরে তাকাতে হয় নি অভিনেতাকে। কাজের ফ্রন্টে, ধর্মেন্দ্রকে পরবর্তীতে করণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’-তে দেখা যাবে। যেখানে রণবীর সিং, আলিয়া ভাট, শাবানা আজমি এবং জয়া বচ্চন প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। আগামী বছরের এপ্রিলে এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।