নিজস্ব প্রতিনিধি: টলি-বলি নিয়ে যেমন ওপার বাংলায় সর্বক্ষণ চর্চা চলছে, তেমনি ওপার বাংলার নানা খবরও এপার বাংলায় মুহূর্তেই ভেসে ওঠে। কলকাতা ও বাংলাদেশের মেলবন্ধনে একাধিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, যেগুলি দুই বাংলাতেই দাপিয়ে রাজত্ব করেছে। সেই কারণে বাংলাদেশের কিছু তারকা যেমন কলকাতার মানুষদের কাছে খুব পরিচিত, তেমনি বাংলাদেশের মানুষের মনেও কলকাতার তারকারা রাজ করে। ঢালিউডের একাধিক তারকা টলিউড তারকাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে একাধিক ছবি উপহার দিয়েছেন, তাঁদের অভিনয়ও যথেষ্ট প্রশংসিত। যাই হোক, আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ গোটা বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে প্রেমদিবস। ঢালিউডের তারকা দের এই দিনটির বিশেষত্ব কী, চলুন জানিয়ে দেওয়া যাক!
প্রথমেই আসি এপার-ওপার বাংলার বিশিষ্ট অভিনেত্রী জয়া আহসানের কথায়। ৪৩ বছর বয়সেও তাঁর গ্ল্যামারের ছটায় মুগ্ধ ৯ থেকে ৯০। বসন্ত শুরুর ঠিক আগের দিনই হলদে শাড়িতে নিজেকে সাজিয়ে ভালোবাসার বার্তা দিলেন নায়িকা। মঙ্গলবার ফেসবুকে জয়া লেখেন, “কাল ছিল বসন্তের শুরু। আজ ভ্যালেন্টাইন। ভালোবাসার সঙ্গে রাখি বেঁধে রাখা দুটি দিন।” সঙ্গে আরও বললেন, “ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক। হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবীতে একটি দিনও নিজেদের ভালোবাসার প্রয়োজনের কথা, ভালোবাসার মানুষকে মনে করার কথা মন্দ কী! ভালোবাসার কথা হয়তো বড্ডই অকিঞ্চিৎকর। ভালোবাসা তো চির বসন্তের মতো সব সময়েই আমাদের মনে জাগিয়ে রাখার কথা। সেটাই সংগত। তবু হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবীতে একটি দিনও নিজেদের ভালোবাসার প্রয়োজনের কথা, ভালোবাসার মানুষকে মনে করার কথা মন্দ কী! ভালবাসার মধ্যে আছে কাউকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেওয়ার আনন্দ। এই যে নিজের চেয়ে আরেকজনকে বড় করে ভাবা, আরেকজনের আনন্দের মধ্যে নিজের আনন্দকে পাওয়া, আরেকজনকে দিয়ে নিঃশেষ হয়েও নিজেকে পূর্ণ বলে অনুভব করা—ভালোবাসাই তো সেটা দিতে পারে। ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক।”
অন্যদিকে ভালোবাসার দিনে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরত ফরিয়া বলেন, “অভিনয় করতে গিয়ে উপলব্ধি করেছি, ভালোবাসার প্রকাশ একেক জনের কাছে একেক রকম। তবে অনুভূতির জায়গা সবারই এক, এর সঙ্গে অমিল খুঁজে পাওয়া কঠিন। হয়তো নিজের নয়, অন্য কারও ভালোবাসার কথা আমরা নানাভাবে তুলে ধরি। ভালোবাসার প্রিয়জনের জন্য হৃদয় কাঁপে কখনও, আবার রক্তক্ষরণ হয়। আমার স্কুলজীবনের এক বান্ধবী প্রেমে পড়ে এক ছেলের। সে কোচিং সেন্টারের সিঁড়িতে প্রতিদিনই দাঁড়িয়ে থাকত। তার চোখেমুখে ছিল মুগ্ধতা। শুরুতে অপলক তাকিয়ে থাকার মধ্যেই সবকিছু সীমাবদ্ধ ছিল। এর কিছুদিন পর সে চিঠি দেওয়া শুরু করল। চিঠি নিতে না চাইলে সিঁড়ি থেকে সে একচুলও নড়ত না।”
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌসের কথায় ভালোবাসার বার্তা, “আমার এক বন্ধুর সঙ্গে তার সহপাঠীর পরিচয় ছিল সেই কলেজ থেকেই। কলেজের সময়টাতে তাঁরা যে খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল, সেটাও বলা যায় না। ঘনিষ্ঠতা একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন অপরিচিত সব মুখের ভিড়ে বন্ধুর কী ভীষণ আনন্দ লাগছিল, তা মেয়েটির চেয়ে ভালো কে বা জানে! সেই দিন থেকেই বলতে গেলে তাদের বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়। বন্ধুত্ব থেকে হয় প্রেম। ক্লাসের ফাঁকে একসঙ্গে ফুচকা খাওয়া, বাড়ি ফেরা- এসব তো ছিলই, বন্ধুর সঙ্গে প্রেমিকার যখন ঝগড়াঝাঁটি হতো, তখন সেই ঝগড়া প্রশমিত করার দায়িত্বও ছিল আমার। একসময় তাঁরা খেয়াল করল, একা কোনো সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গেলে একে অপরকে মিস করে, ভালো কিছু খাওয়ার সময় একে অপরের কথা মনে পড়ে তাদের, ভালো সময়গুলোতে একে অপরের উপস্থিতিই তাদের কাছে সবচেয়ে কাম্য। তাঁদের দু’জনেরই মনে হলো, এই অপরিহার্যতার নামই ভালোবাসা।”