নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে শনিবার যান। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন পূর্ণেন্দু বসু(Purnendu Basu), সুদেষ্ণা রায়,রন্তিদেব সেনগুপ্ত ,অধ্যাপক দীপঙ্কর দে,প্রদীপ্ত গুহ ঠাকুরতা,পরিচালক সুদেষ্ণা রায় ,অরূপ শঙ্কর মৈত্র,কবি প্রসূন ভৌমিক ,সিদ্ধব্রত দাস।সনাতন বিরোধী তৃণমূল এই বিজ্ঞাপন দেশের আইন বিরুদ্ধ এবং নির্বাচনী নিয়মবিধির বিরুদ্ধে।নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা।সংবিধানের ধারা এবং আইন উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে কমিশনে।
বিজেপি নির্বাচনে প্রচারে ধর্মীয় বিভাজন করছেন।নির্বাচনী প্রচারে খোলাখুলি ধর্মকে ব্যবহার করছে। বিজেপি ধর্মকে টেনে এই ধরনের প্রচার দেশের সম্প্রতি এবং ঐক্যের পরিবেশকে নষ্ট করে।রাজ্যের উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। ভোট প্রক্রিয়া বানচাল করতে পারে।যারা এই ধরণের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি নির্বাচন কমিশনে(Election Comission)।এই ধরনের বিজ্ঞাপন প্রকাশের আগে কি নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল?
নির্বাচন কমিশন কি এই বিজ্ঞাপন দেখে সম্মতি দিয়েছেন, না তাঁদের অগোচরে ছাপানো হয়েছে।যারা বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তাঁরা জেনে বুঝে দিয়েছেন। তার কারণ বিজ্ঞাপনে তাঁদের নাম খুব ছোট করে দেওয়া হয়েছে। সুদেষ্ণা রায়, প্রসূন ভৌমিক, সহ একাধিক বুদ্ধিজীবীরা আজকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির এই বিজ্ঞাপন নিয়ে নালিশ জানান। পরে তারা নির্বাচন কমিশনের daft এর বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন।বামপন্থী মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে কণিনিকা বলেন, চারটে বামপন্থী মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দিতে এসেছিলাম। আমরা মূলত বলতে চেয়েছি অধিকাংশ মানুষ নিজেদের ভোট দিতে পারেন না। মহিলা দের হেনস্তা করা হয়। যার জন্য শাসক দল যুক্ত থাকেন। সন্দেশখালি নিয়ে আমরা দেখেছি কি ভাবে ঘটনা ঘটেছে। আমরা দেখেছি গন্ডগোল এড়াতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তৃতীয় দফার নির্বাচন আরো বেশি সতর্ক হওয়া উচিত কমিশনের।
স্থানীয় পুলিশ যদি সঠিক ভূমিকা পালন না করে তাহলে নিরপক্ষ ভোট দেওয়া সম্ভব হয় না। ভিডিও তে দেখা গেছে যে হুমকি দেওয়া হয় যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে কি হবে। ভোট যাতে শান্তিপূর্ন পরিবেশে হয় । বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যে বলেছি। যাতে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে সেটা আমরা দাবি জানিয়েছি। আমরা পঞ্চায়েতের সময় মুর্শিদাবাদ, সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় গণ্ডগোলের কথা বলেছি। যদি নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ন ভাবে নির্বাচন করতে পারে, তাহলে মানুষ তাদের উপরে ভরসা রাখতে পারবে। মুর্শিদাবাদে প্রচুর বোমা উদ্ধার হয়েছে এবং অভিজিৎ গাঙ্গুলী ঘটনা নিয়ে কনীনিকা দেবী বলেন যে আমরা বলেছি মোহাম্মদ সেলিম যখন প্রচার করেছিলেন তখন তাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশন উপরে ভরসা রাখতে চাই বলে জানালেন কনীনিকা।