নিজস্ব প্রতিনিধি: ইন্টারনেট জুড়ে তোলপাড়। দিন কয়েক আগেই খবরে রয়েছেন তেলেগু মেগাস্টার চিরঞ্জীবী। সৌজন্যে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। দিন কয়েক ধরেই এই খবরটি ভক্তদের বেশ উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। যদিও অভিনেতাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে মহিমা চৌধুরী, সোনালী বেন্দ্রে, কিরণ খের-সহ একাধিক অভিনেত্রীর ক্যান্সারের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে সবাই এখন সুস্থ। কিন্তু সোনালী বেন্দ্রের ছেলে রণবীর বহেল হাঁপানির রুগী। তাই নিয়ে চিন্তিত অভিনেত্রী। এদিকে
চিরঞ্জীবীর ভক্তরা অভিনেতার সুস্থতার কামনা করছেন। কিন্তু ঘটনাটা সম্পূর্ন মিথ্যে। তাই উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে, অভিনেতার ক্যান্সার ধরা পড়েছে। আসলে ঘটনার সূত্রপাত, অভিনেতা যখন ক্যান্সার সেন্টারের উদ্বোধনের সময় ক্যান্সার সচেতনতার কথা বলেছিলেন। এবার অভিনেতাই জানাচ্ছেন, তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, কারণ তাঁর ‘নন-ক্যান্সারাস পলিপ’ ধরা পড়েছিল এবং সময়মতো তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চিরঞ্জীবী টুইটারে একটি দীর্ঘ নোট শেয়ার করে বলেছেন, কীভাবে মিথ্যা প্রতিবেদনগুলি মানুষকে ভীত করছে। তিনি তেলেগু ভাষায় লিখেছেন, “কিছুক্ষণ আগে আমি একটি ক্যান্সার সেন্টার উদ্বোধনের সময় ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম যদি নিয়মিত মেডিকেল টেস্ট করিয়ে নেওয়া যায় তাহলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যাবে। আমি সতর্ক ছিলাম এবং একটি কোলন স্কোপ পরীক্ষা নিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম যে নন-ক্যান্সার পলিপ সনাক্ত করা হয়েছে এবং অপসারণ করা হয়েছে। আমি শুধু বলেছিলাম মাত্র, ‘প্রথমে পরীক্ষা না করলে ক্যান্সার হয়ে যেত।’ আমি বলেছিলাম যে কেন প্রত্যেকেরই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং মেডিকেল পরীক্ষা/স্ক্রিনিং করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন, “কিন্তু কিছু মিডিয়া সংস্থা আমার কথা সঠিকভাবে বুঝতে পারেনি এবং তাঁরা ‘আমার ক্যান্সার হয়েছে’ বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘চিকিত্সার কারণে আমি বেঁচে গেছি’ বলে ওয়েব নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এতে অহেতুক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে চারিদিকে। অনেক শুভানুধ্যায়ী আমার স্বাস্থ্য সম্পর্কে বার্তা পাঠাচ্ছেন। এই স্পষ্টীকরণ তাঁদের সকলের জন্য। এমন সাংবাদিকদের কাছেও আবেদন। বিষয় না বুঝে বাজে কথা লিখবেন না। এ কারণে অনেক মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পারে।” চিরঞ্জীবীর অনুরাগী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁর পোস্টে মন্তব্য করে বলেছেন, “এটি একটি দুর্দান্ত উদ্বেগজনক সুর স্যার, খুশি যে আপনি এটি উল্লেখ করেছেন – এটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে,” “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমরা চিন্তিত ছিলাম” এবং “চিরু স্যার দীর্ঘজীবী হন।”