নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউড থেকেও তাঁর অভিনয় জার্নি শুরু হলেও বর্তমানে তিনি একজন আন্তর্জাতিক মানের তারকা। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী তথা অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে। তিনি শুধু হলি-বলি তারকাই নয়, সঙ্গে একজন উদ্যোক্তা এবং চলচ্চিত্র প্রযোজকও বটে। এছাড়াও জাতিসংঘের একজন গুরুত্ব পূর্ণ সদস্য এবং ইউনিসেফ-এর একজন দাপুটে প্রতিনিধি। সম্প্রতি বিবিসির বিচারে বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস। শুধু তিনি নয়, তাঁর সঙ্গে আরও তিনজন ভারতীয় মহিলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এই তালিকায়।
সম্প্রতি বিবিসি-র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে একাধিক অজানা তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন পিগি চপস। জানিয়েছেন, হলিউডে তিনি প্রতিষ্ঠিত হলেও বলিউডে শুরুর দিকে একাধিকবার বর্ণ বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এমনকী তাঁর সঙ্গে অনেকেই কাজ করতে চাইতেন না। প্রিয়াঙ্কা ২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা জয়ের পর গ্ল্যামার জগতে প্রবেশ করেন। হিন্দি চলচ্চিত্রে ষাটটিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এরপর, হলিউডে আস্তে আস্তে প্রভাব বিস্তার করেন অভিনেত্রী তাঁর। ABC সিরিজ কোয়ান্টিকোতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেই জায়গা পাকা করেন তিনি হলিউডে। অভিনেত্রী, সামাজিক কাজেও দারুণ সক্রিয়।
বিবিসি-র সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, প্রিয়াঙ্কা জানান, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করা তাঁর জন্য “ক্ষমতায়ন” ছিল। একটি ‘ছোট শহরের’ মেয়ে তিনি৷ কিন্তু আজ, যদি তাঁকে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় সুযোগ দেওয়া হয়, তিনি কিছুতেই অংশগ্রহণ করবেন না৷ কেন, অভিনেত্রীর কথায়, “আমার বয়স ৪০, আমি মনে করিনা আমাকে কেউ এই প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে মেনে নেবেন। যদিও আমি ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে এখনও দ্রুত বুদ্ধিমান উত্তর দিতে পারি।” প্রিয়াঙ্কা বর্তমানে একটি জনপ্রিয় নাম, তিনি তাঁর সব আপডেট প্রতিনিয়ত ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন। তিনি মনে করেন একজন অভিনেতা সবসময় সবাইকে খুশি করতে পারে না। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, “আপনি কখনই সোশ্যাল মিডিয়াতে যথেষ্ট ভাল হতে পারবেন না। আপনি যাই করুন না কেন, সবসময় এমন লোক থাকবে যাঁরা বলবে, ‘আপনি এটি ভুল করেছেন।’ আপনি কখনই সবাইকে খুশি করতে পারবেন না। আমি রাজনীতিবিদ নই, আমি একজন বিনোদনকারী, আমি আইন পরিবর্তন করতে পারি না, আমি আইন তৈরি করতে পারি না, তবে আমার প্রভাব আছে।”