নিজস্ব প্রতিনিধি: সাত সকালেই মহাদেব বেটিং অ্যাপ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অভিনেতা সাহিল খানকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। ‘স্টাইল’ এবং ‘এক্সকিউজ মি’-খ্যাত অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ১৫,০০০ কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে বহুদিন ধরেই ইডির নজরে রয়েছে মহাদেব বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের নির্মাতারা। গতবছর এই আর্থিক জালিয়াতি অ্যাপ্লিকেশনের একজন নির্মাতার বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন বলিউডের একঝাঁক তারকা। দুবাইতে তাঁর বিয়েতে প্রায় খরচ হয়েছিল ৫০০ কোটিরও অধিক। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা গ্রাহকদের লোভনীয় অফারের জালে জড়িয়ে তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে টাকা তুলে নিত। এমনকি এই অ্যাপ্লিকেশনের বিজ্ঞাপনেও জড়িয়েছে রণবীর কাপুরের নাম।
তাঁদের সকলকেই সমন পাঠিয়েছে ইডি। আর মহাদেব বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের নাকি সহ মালিক ছিলেন সাহিল। একাধিকবার তাঁকে মুম্বই আদালত সমন পাঠালেও তিনি আদালতে হাজিরা এড়িয়ে যান। এরপরই ছত্তিশগড়ে ৪০ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে সাহিল খানকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। রবিবার মুম্বাইয়ের বিশেষ আদালতের নির্দেশে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে সাহিলকে। অভিনেতাকে ১ মে, ২০২৪ পর্যন্ত হেফাজতে রাখা হবে। অভিনেতাকে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের SIT ছত্তিশগড়ের জগদলপুর থেকে আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে মহাদেব বেটিং অ্যাপের সহযোগী সংস্থা লোটাস অ্যাপ 247-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বের অভিযোগ আনা হয়েছে। মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় সাহিল খান সহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে মাটুঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অভিনেতাকে আজ মুম্বাই আদালতে পেশ করা হয়েছিল, যেখানে তাকে ১ মে পর্যন্ত হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিনেতা সাহিল খান হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করার কয়েকদিন পরে তিনি গ্রেফতার হলেন, কারণ তাঁর আবেদন আদালত প্রত্যাখ্যান করেছিল, এরপরেই এসআইটি ব্যবস্থা নেয়। হাইকোর্ট বলেছে যে, তিনি “অনলাইন বেটিং আবেদনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।”
#WATCH | Actor Sahil Khan brought to Mumbai from Chhattisgarh. He has been arrested by the Mumbai Crime Branch’s SIT in connection with the Mahadev Betting App case.
“I believe in the judiciary of the country, ” he says pic.twitter.com/HirOzizuXb
— ANI (@ANI) April 28, 2024
মুম্বই পুলিশ তাদের অভিযোগপত্রে কী বলা হয়েছে?
পুলিশের কথায়, অভিনেতা সাহিল খান ৬৭ টি বিভিন্ন বেটিং সাইট তৈরি করেছেন। সেখান থেকে গ্রাহকদের থেকে টাকা তোলা এবং জমা দেওয়ার জন্য ২০০০ টিরও বেশি সিম কার্ড ব্যবহার করা হত। এর জন্য জাল নথি ব্যবহার করা হয়। দেশের বাইরে টাকা পাঠাতে এবং ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তর করার জন্য প্রায় ১৭০০ টি জাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছিল। এসব নথিও জাল দলিলের সাহায্যে বিভিন্ন ব্যাংকে তৈরি করা হয়। পুলিশ যোগ করেছে যে, অভিযুক্তরা তাদের বেটিং ওয়েব পোর্টালের প্রচারের জন্য ১০০০ টিরও বেশি টেলিগ্রাম চ্যানেল এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছে। পুলিশ সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, বেটিং ওয়েব পোর্টাল এবং সিম কার্ড প্রদানকারী সংস্থাগুলির কাছ থেকে আরও তথ্য চেয়েছে।