নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউড মানেই স্ট্রাগল দুনিয়া। হালে ‘স্টারকিড’ এই বিষয়টি মাথাচারা দিয়ে উঠলেও বলিউডের স্বর্ণালী যুগেও কিন্তু স্টারকিড ছিল। গডফাদার না ছাড়া বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়না এই বিষয়টি অনেক তারকারাই মিথ্যে প্রমাণিত করেছেন। আবার এমন অনেক স্টারকিড আছেন যারা বিখ্যাত তারকার সন্তান হয়েও বলিউডে ব্যর্থ। যাই হোক, স্বর্ণালী যুগেও তারকাদের প্রতিষ্ঠিত হতে কম স্ট্রাগল করতে হয়নি। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান আইডলের চলতি মরসুমে এসে প্রবীণ অভিনেতা জিতেন্দ্র ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর প্রাথমিক বছরের সংগ্রামের স্মৃতিগুলি স্মরণ করেছেন।
যেখানে তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে তাঁর মাকৃষ্ণা কাপুর, ভি শান্তরামের ১৯৬৩ সালের সিনেমা ‘সেহরা’-এর সেটে অভিনেতার জন্য খাবার নিয়ে আসতেন, যেখানে তিনি একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ‘সেহরা’-তে যখন তিনি জুনিয়র আর্টিস্ট হওয়ার দিনগুলির কথা স্মরণ করে জিতেন্দ্র বলেন, “আমি যেখানেই শুটিং করতাম অর্থাৎ গুরগাঁও বা লালবাগে (মুম্বাইয়ে), আমার মাও আমার জন্যে পৌঁছে যেত সেখানে খাবার নিয়ে। তখন আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে বলেছিলাম, আমাকে এমন কিছু দিন যাতে আমি আমার মায়ের জন্য কিছু করতে পারি।”
জিতেন্দ্র ‘ফর্জ’, ‘এক হাসিনা দো দিওয়ানে’, ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘হামজোলি’, ‘ধরতি কাহে পুকরকে’, ‘মেরে হামসাফর’ সহ আরও অনেকগুলি হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। বিশেষ করে তিনি বলিউডের স্টাইল আইকন এবং নাচের দক্ষতার জন্যই সুপরিচিত। যার কারণে তাঁকে ‘জাম্পিং জ্যাক অফ বলিউড’ উপাধি দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সিঙ্গিং রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল 13’-এ সেলিব্রিটি গেস্ট হিসেবে আসছেন জিতেন্দ্র। এদিন তিনি প্রতিযোগী বিনীত সিংয়ের কন্ঠে কিংবদন্তি গায়ক মহম্মদ রফির গাওয়া ‘কিতনা পেয়ারা ওয়াদা হ্যায়’ এবং ‘মাস্ত বাহারন কা’ গানগুলি শুনে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন। বিনীতের প্রশংসা করতে গিয়ে জিতেন্দ্র বলেন, “আমি রফিজির খুব কাছাকাছি ছিলাম। তিনি আমার সব গানই গাইতেন। তোমার গান শুনে মনে পড়ে গেল রফিজির কথা কারণ তোমার কণ্ঠও রফিজির মতো সৎ।” এই মুহূর্তে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে মোট ১১ জন প্রতিযোগী রয়েছে, অযোধ্যার ঋষি সিং, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, আনুশকা পাত্র, দেবস্মিতা রায়, সেঁজুতি দাস, কলকাতার সোনাক্ষী কর, জম্মুর চিরাগ কোতওয়াল, লখনউ থেকে বিনীত সিং, অমৃতসরের নবদীপ ওয়াদালি, শিবম সিং এবং গুজরাটের কাব্য লিমায়ে।