নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডের অনেক অজানা খবর মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় ফেলে দেয়। এই যুগের তারকাদের ক্ষেত্রেও যেমন হেলায় ছবি থেকে রাতারাতি বাদ দেওয়ার ট্রেন্ড রয়েছে। তেমনি ৭০-৮০ দশকেও এমন ট্রেন্ড অব্যাহত ছিল। রাজ বব্বর, যিনি কিনা এই প্রজন্মের অভিনেতা প্রতীক বব্বরের বাবা। ৭০ দশকের একজন দাপুটে অভিনেতা ছিলেন রাজ বব্বর। একাধিক ব্লকবাস্টার তাঁর ঝুলিতে রয়েছে। এমনকী বাংলাতেও দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে একটি ছবিতে অভিনয় করছিলেন তিনি।কিন্তু জানেন কী, একবার একটি ছবি থেকে অমিতাভ বচ্চনের সুপারিশে বাদ পড়েছিলেন রাজ বব্বর। যেখানে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন রাজ বব্বরের স্ত্রী স্মিতা পাতিল। প্রকাশ মেহরা পরিচালিত ‘নমক হালাল’-বলিউডের একটি আইকনিক চলচ্চিত্র। যেখানে অভিনয় করেছিলেন, অমিতাভ বচ্চন, স্মিতা পাতিল, পারভীন বাবি। এই ছবিতে রাজ বব্বরেরও অভিনয় করার কথা ছিল, কিন্তু পরে তাঁর জায়গায় অভিনয় করেন শশী কাপুর।
রাজ বব্বর ১৯৮০ দশকের ছবি ‘ইনসাফ কা তারাজু’-এর মাধ্যমে রাতারাতি লাইমলাইটে উঠে আসেন। অভিনেতা পরবর্তীতে ‘নিকাহ’, ‘ম্যায় আওয়ারা হুঁ’-এর মতো একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, যে অমিতাভ বচ্চনের ‘নমক হালাল’-এও তাঁকে কাস্ট করা হয়েছিল? প্রথমে ছবিতে বচ্চনের সঙ্গে বিনোদ খান্নার অভিনয় করার কথা থাকলেও পরে তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা করেন, তাই পরিচালক প্রকাশ মেহরা রাজকে ছবিতে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তখন রাজের দিলীপ কুমারের একটি ছবির অংশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেটি কার্যকর হয়নি। এরপর রাজ প্রকাশ মেহরার প্রস্তাবে রাজি হন এবং তাঁকে অনুরোধ করেন মুম্বাইতে থাকার জায়গা করে দিতে।
তখন ছবির প্রযোজক তাঁকে একটি বিমানের টিকিট পাঠান এবং রাজ পকেটে মাত্র ১০০ টাকা নিয়ে মুম্বই চলে আসে। আর বাড়িতে স্কুটার বিক্রি করে সেই টাকা স্ত্রীকে দিয়ে বলেন তিনি এক বছরের জন্য মুম্বই যাচ্ছেন। যে করে হোক সংসার চালাতে। কিন্তু যখন সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, তখনই রাজকে ‘নমক হালাল’ থেকে বরখাস্ত করা হয়, কারণ অনেক তারকা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চায়নি। রাজ তখন প্রকাশ মেহরাকে বলেছিলেন যে, যেহেতু তিনি তাঁকে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক বছরের জন্য মুম্বাইতে এনেছেন তাই তাঁর থাকার জায়গা করে দিতে হবে। এইভাবেই তিনি মুম্বইতে থেকে যান।