নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষাধিক টাকা বা ওটিটিতে কেলেঙ্কারি জড়িত থাকার অভিযোগে গত অক্টোবরেই মুম্বই সাইবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজক রাজ সালুজা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, ফিল্ম প্রযোজক মান সিং। প্রযোজকের দাবি, রজত মৌর্য, সঞ্জয় সাহা এবং রাজ সালুজা সহ একদল কনম্যানের দ্বারা তিনি প্রতারিত হয়েছেন। তাঁর মোট ৪৮ লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছে। যদিও গ্রেফতার হওয়ার দিন কয়েক পরেই জামিনে মুক্তি পান রাজ।
যদিও অভিনেতা জানিয়েছেন, তাঁকে এই আইনি মামলায় ভুলভাবে টেনে আনা হয়েছে। কারণ ঘটনায় সম্পূর্ণভাবে দোষী রজত। মান সিং-এর বক্তব্য, রজত তাঁর সিনেমাগুলি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে স্ট্রিম করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এবং পরিষেবা প্রদানকারীর জাল চিঠি দেখিয়ে ৪৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। তবে অভিনেতা সালুজার দাবি, ৪৮ লক্ষ টাকার মধ্যে সালুজা মাত্র ৭.৫ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। গ্রেফতারের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে রাজ বলেন, “এই মামলার আগে আমি মান সিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতাম। আসলে সে রজতের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল কিন্তু আমার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিল। তবে আমাকে বেশি হতবাক করেছিল যে, অভিযোগটি জুলাই মাসে দায়ের করা হয়েছিল এবং কয়েক মাস পরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
রাজের কথায়, “মান সিং এবং রজত অংশীদার ছিলেন। রজত তাঁর জন্য একটি শো লিখতে আমার কাছে এসেছিলেন, যার শিরোনাম ছিল ‘এমডি’। আমার কাছে তাঁরা শুধুমাত্র বিনিয়োগকারী ছিল আর আমি সৃজনশীল প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলাম, কিন্তু তিনি কয়েক মাসের মধ্যে অধৈর্য হয়ে উঠতে শুরু করেন। আমরা ইমেলের মাধ্যমে সমস্ত শর্তাদি বিনিময় করেছিলাম, কিন্তু তিনি তাঁর অর্থ ফেরত চেয়ে বসেন তখনই। এরপরই তিনি মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন। আমি বেশ কয়েক বছর ধরে এই শিল্পে আছি এবং বেশ কয়েকজন অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরাও আমাকে সমর্থন করেছিল।” তবে রাজ জামিনে মুক্ত হলেও রজত এখনও কারাগারে বন্দি।
রাজ সালুজা ‘ওম: দ্য ব্যাটল উইদিন’, ওয়েব সিরিজ ‘শিক্ষা মণ্ডল’ এবং ‘ইয়ার্গি’-এর চিত্রনাট্যকার ছিলেন এবং আয়ুষ্মান খুরানা অভিনীত ‘ড্রিম গার্ল’-এর অন্যতম প্রযোজক ছিলেন। রাজ এখনও আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেনি কারণ তিনি চূড়ান্ত চার্জশিটের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে তিনি আত্মবিশ্বাসী যে তাঁর বিরুদ্ধে কিছুই হবে না।