নিজস্ব প্রতিনিধি: বলি-টলি মিলিয়ে এমন বহু তারকা রয়েছেন, যাঁরা অভিনয়ের পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও তাঁদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং সেখানেও সফল হয়েছেন। আমাদের বাংলাতে শাসকদলের হয়ে একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তেমনি বলিউডেও একাধিক তারকারাও তাঁদেরকে রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড় করিয়েছেন।
তেমন একজন হলেন, বলিউডের স্বনামধন্য অভিনেতা সানি দেওল। যিনি ৮০-৯০ দশক থেকেই বলিউডে রাজত্ব করে চলেছেন। যদিও এখন অভিনয়ে তাঁকে খুব একটা বেশি দেখা যায় না। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না তিনি। অভিনেতার এই অনিশ্চিতকরণের কারণে বিজেপি তাঁর পরিবর্তে প্রার্থী করছেন। কারণ দুই বছরের বেশি সময় ধরে তাঁকে নিজের নির্বাচনী এলাকাতেও দেখা যাচ্ছে না। সুতরাং অভিনেতার এই অনাগমনে হতাশ তাঁর সমর্থকরাও।
অভিনেতার সহযোগীরা বলছেন, হয়তো তিনি গৌরবের আগুনে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে চান। অভিনেতার দায়িত্বেই গুরুদাসপুরের মূল ভূখণ্ডের মধ্যে রাভির ওপারে অবস্থিত এক ডজন গ্রামের সংযোগকারী স্বার্থে ৮০০ মিটার দীর্ঘ কংক্রিট সেতুর নির্মাণ নামের একটি প্রকল্পটি তৈরি হয়েছিল, যা করতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
অভিনেতার দল থেকে বিমুখ প্রসঙ্গে একজন সিনিয়র নেতা বলেছিলেন, “একজন এমপি হিসাবে তাঁর ১৮ মাসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তাঁকে ভাল অবস্থানে ধরে রেখেছিল। তাছাড়া অভিনেতা তাঁর এলাকার সমস্যাতেও ঝাঁপিয়ে পড়তেন। একজন এমপি হিসাবে, তিনি রেলওয়ের সঙ্গেও সহযোগিতা করেছিলেন এবং পাঠানকোট শহরের জটিল রেল ক্রসিং সমস্যা সমাধানের পথে তিনি প্রথম হেঁটেছিলেন। তবে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তিনি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।” ২০১৭ সালের উপনির্বাচনে জাখর এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কাদিয়ানের প্রাক্তন বিধায়ক ফতেহ জং বাজওয়াও প্রার্থী হয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডঃ সমরেন্দ্র শর্মা এই বিষয়ে বলেছেন, “যদি অভিনেতার বদলি হিসেবে তাঁকে টিকিটের দাবি করতে হয়, তাহলে তাঁকে জাট-শিখ অধ্যুষিত আসন আরও প্রশস্ত করতে হবে। কারণ অভিনেতা চার মেয়াদে এমপি ছিলেন।”