নিজস্ব প্রতিনিধি: সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আজকাল কোনও কিছুই আড়ালে থাকেনা। তারকাদের জীবনের নানা খবর ঝড়ের বেগে ভাইরাল হচ্ছে। এছাড়া তাঁদের পোশাক ঘিরে সমালোচনা তো চলছেই। যাই হোক, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও তারকার পোস্ট সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নজর এড়িয়ে যায়না সেলিব্রিটি বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদেরও। বর্তমান যুগটা হয়ে গিয়েছে রিমেকের যুগ। কারণ বেশিরভাগ সিনেমা গুলিই নকল করার পথে নেমেছেন। কখনও দক্ষিণী চলচ্চিত্রের কাহিনী চুরি করছে, আবার কখনও ইংরেজী। তবে সবটাই অফিসিয়ালি। এছাড়া বিনা অনুমতিতে অনেক সময়েই গান বিভিন্ন দেশের গানের চুরি করা হচ্ছে। সেটিও নজর এড়য় না কারুরই।
সম্প্রতি চলচ্চিত্র নির্মাতারা এবং বিষয়বস্তু নির্মাতারা তাঁদের সৃষ্টি যাতে কোনওভাবেই চুরি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য দিচ্ছেন। এমনটা প্রায়শই হয় যে, নির্মাতারা নতুন বিষয়বস্তু তৈরি করার জন্য অন্যান্য চলচ্চিত্র ও শোয়ের ‘অনুপ্রেরণা’ চুরি করেন। আবারও এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এল। তামিল চলচ্চিত্র নির্মাতা হালিথা শামীম সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় গিয়ে মামুটি অভিনীত ‘নানপাকাল নেরাথু মায়াক্কাম’-এর নির্মাতাদের বিরুদ্ধে তাঁর সিনেমা আইলেয়ের নান্দনিকতা চুরি করার অভিযোগে দুষলেন। তিনি ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্টে, তামিল ভাষায় লিখেছেন যে, কীভাবে তাঁর সিনেমা থেকে সমস্ত নান্দনিকতা চুরি করা হয়েছে। তিনি এবং তাঁর দল একটি গ্রামের লোকদের বিশেষভাবে তাঁর আইলয়ে সিনেমার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। সেগুলিই চুরি করেছেন মামুটির নির্মাতারা। যদিও তিনি খুশি যে লিজো জোসে পেলিসারির পরিচালনার নির্মাতারা সেট এবং লোকেদের ব্যবহার করেছেন, কিন্তু হতাশাজনক যে, “আমি যে সমস্ত নান্দনিকতা আমার ছবিতে যুক্ত করেছি তা ‘নানপাকাল নেরাথু মায়াক্কাম’-পুরো ফিল্ম জুড়ে কপি করা হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেছেন, “এখানকার আইসক্রিম বিক্রেতা দুধওয়ালা হয়ে উঠেছে। সেম্বুলী যেভাবে একটি মর্চুয়ারি ভ্যানের পিছনে দৌড়ায়, এখানে সেবালাই একটি বাসের পিছনে দৌড়য়, সবটাই একই। আমার চলচ্চিত্র আইলেকে বরখাস্ত করতে পারেন, তবে এর থেকে ধারণা এবং নান্দনিকতা নির্দয়ভাবে ছিঁড়ে গেলে আমি শান্ত থাকবো না।” উল্লেখ্য, দুটি সিনেমারই শুটিং করেছেন চিত্রগ্রাহক থেনি ঈশ্বর। নানপাকাল নেরাথু মায়াক্কামের নির্মাতারা এখনও অভিযোগের জবাব দেননি।