নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরের শুরুর দিক থেকেই অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর জীবন দিয়ে বয়ে গেছে ঝড়। স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকীর একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ হয়ে ছিলেন অভিনেতা। কখনও তাঁর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনেছেন আলিয়া, আবার কখনও বাচ্চাদের লালন পালন না করার, মারধরের অভিযোগ এনেছিলেন নওয়াজ ঘরণী। এছাড়া নওয়াজের মায়ের বিরুদ্ধে সম্পত্তি আত্মসাৎ, শ্বশুরবাড়িতে তাঁকে ঢুকতে না দেওয়া, বন্দি করে রাখা ইত্যাদি একাধিক বিষয়ে অভিযোগ এনেছিলেন আলিয়া। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই ঠান্ডা।
দুজনেই মিউচুয়ালি ডিভোর্সের পথে হাঁটছেন। আদালতের নির্দেশে বাচ্চারা আপতত আলিয়ার কাছেই রয়েছে, তাঁদের দেখাশোনা করতে মাঝে মাঝে নিজের কাছেও নিয়ে আসে নওয়াজ। যদিও অভিনেতা তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে বলেছিলেন, আলিয়া খুবই অর্থালোভী একজন মানুষ। তাঁকে প্রতি মাসে অনেক অনেক টাকা দিলেও তাঁর চাহিদা পূরণ হয় না। এদিকে আলিয়ার আবার নতুন সম্পর্কের গুজবও উঠেছিল। বিগবস ওটিটি ২ এর অন্যতম প্রতিযোগী ছিলেন আলিয়া। কিন্তু তিনি বেশিদিন টেকেন নি। যাই হোক, আজকে আলিয়াকে নিয়ে আবারও আলোচনার কারণ একটু অন্য!
সূত্রের খবর, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকীর করা শ্লীলতাহানির মামলায় ইউপির পস্কো আদালতে তাঁকে তলব করেছে। উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের একটি আদালত আলিয়া সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে বিশেষ সুরক্ষা শিশুদের যৌন অপরাধের কারণে নোটিশ জারি করেছে এবং তাঁকে আগামী ৭ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। POCSO আদালতের বিচারক, রিতেশ সচদেভা মঙ্গলবার অভিযোগকারী আলিয়া সিদ্দিকীকে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী সহ সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরে উত্তরের জন্য আদালতে হাজির হতে বলেছেন।সরকারি কৌঁসুলি প্রদীপ বালিয়ান বলেছেন যে, পুলিশ শ্লীলতাহানির মামলায় নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী সহ পাঁচ অভিযুক্তকেই ক্লিন চিট দিয়েছে। প্রসিকিউশন অনুসারে, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর ভাই মিনাজুদ্দিন ২০১২ সালে পরিবারের একজন নাবালক সদস্যকে শ্লীলতাহানি করেছিলেন এবং অন্যরা তাকে সমর্থন করেছিল। আলিয়া দ্বারা মুম্বাইতে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল এবং পরে ২০২০ সালে এখানে বুধনা থানায় স্থানান্তরিত হয়েছিল। তদন্তের পরে, পুলিশ এই মামলায় নওয়াজউদ্দিন, তার মা মেহরুনিসা, তার ভাই ফেজউদ্দিন, আয়াজুদ্দিন এবং মিনাজউদ্দিনকে ক্লিন চিট দিয়েছে।
