নিজস্ব প্রতিনিধি: বিদ্যা বালন, বলিউডের অন্যতম সাহসী এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সদ্য রিলিজ হয়েছে তাঁর ছবি ‘দো অউর দো প্যায়ার’ ছবিটি। ছবিতে তাঁর সহ-অভিনেত্রী হলেন ইলিয়ানা দি’সুজা। তবে ছবিটির কাহিনী ভাল হলেও বক্সঅফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যেই তাঁকে ইন্ডাস্ট্রির নেপোটিজম নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। তাতে একেবারেই কেরিয়ারে দাগ লাগার ভয় তিনি পান না। এদিকে সদ্য শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। আর এবারের লোকসভা নির্বাচনের শাসক-বিরোধী দলগুলির তুরূপের তাস হয়েছেন তারকারা। অনেক তারকা প্রার্থী তালিকায় নাম লিখিয়ে রাজনীতিতে ডেবিউ করেছেন। কিন্তু এদের মধ্যেও এমন অনেক তারকা আছেন যাঁরা রাজনীতি বিষয়টিই ভয় পান। যার মধ্যে একজন বিদ্যা বালন। একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে, নানা দেশ ও বিশ্বের মেরুকরণ এবং ধর্ম নিয়ে কথা বলেছেন বিদ্যা।
কিন্তু রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে তিনি চান না। তার কারণ সম্পর্কে অভিনেত্রী বলেন, “রাজনীতিকে খুব ভয় লাগে, যদি আমাকে নিষিদ্ধ করে দেয়। সৌভাগ্যক্রমে, এখন অভিনেতারা রাজনীতি নিয়ে কথা বলার বিষয়ে সতর্ক হয়েছেন। জানি না, কি বলে দেবো আর কে ক্ষুব্ধ হয়ে যাবে, বিশেষ করে একটি ছবি মুক্তির জন্য ২০০ জনের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ, তাই আমি শুধু বলি আমাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখুন।” কেরিয়ারের শুরু থেকেই কি তিনি রাজনীতি নিয়ে কথা বলার ভয় দেখেছেন, সে বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে এটি ঘটছে, লোকেরা সবকিছুর উপর বিরক্ত। তারা এমন বিষয়েও তাদের ইনপুট দেয় যে বিষয়ে তারা বেশি কিছু জানে না। তাই আপনার মুখ বন্ধ করে রাখি সবসময় রাজনীতির বিষয়ে।”
এরপর জাতি ধর্ম মেরুকরণের বিষয়ে বিদ্যা বলেন, “আমি মনে করি আমরা অবশ্যই মেরুকরণ করেছি। একটি জাতি হিসাবে, আগে আমাদের একটি ধর্মীয় পরিচয় ছিল না কিন্তু এখন কেন জানি না, এটা শুধু রাজনীতি নয়, এটি সোশ্যাল মিডিয়াও, কারণ আমরা সবাই এই পৃথিবীতে হারিয়ে গেছি এবং একটি পরিচয় খুঁজছি। ধর্ম হোক বা এই জাগরণ, লোকেরা বলে, ‘এই আমি কে’, কিন্তু আপনি জানেন না আপনি কে! আমাদের সকলেরই আত্মীয়তার অনুভূতি দরকার। গভীর আধ্যাত্মিক ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও আমি কখনও ধর্মীয় কাঠামো তৈরির জন্য তহবিল চাইতে লোকদের দান করি না। বরং স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন এবং শিক্ষার সঙ্গে জড়িত ক্ষেত্রগুলিতে তহবিল দিই।”