নিজস্ব প্রতিনিধি: অসুস্থতা কাটিয়ে চলতি মাসের শুরুতেই ওয়ার্ল্ড ট্যুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বিশ্বখ্যাত পপ তারকা ম্যাডোনা। তিনি এখন লন্ডনের O2 এরিনায় উদযাপন সফরে আছেন। ম্যাডোনা লন্ডনের O2 এরিনার মাধ্যমেই সেলিব্রেশন ট্যুর শুরু করেছেন। মাস কয়েক আগেই গুরুতর ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন ম্যাডোনা। বিষয়টি অভিনেতার ম্যানেজার নিশ্চিত করেছিলেন। এটি পপ তারকা ম্যাডোনার অসুস্থতা কাটিয়ে ওঠার প্রথম পারফরম্যান্স। তিনি জুন মাসে বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এদিন লন্ডন এরিনা কনসার্টে ম্যাডোনা চলমান ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে সোচ্চার হলেন। যেখানে যুদ্ধের রীতিমতো দামামা বেঁধেছে। ইতিমধ্যে ৪,০০০ মানুষ নিহত হয়েছেন এবং অন্যদের অপহরণ করা হয়েছে।
গাজায় একটি হাসপাতালে কয়েকদিন আগেই মারাত্মক বোমা বিস্ফোরণে মারা যান ৫০০ জন। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ফেলে দিয়েছে। এদিন কনসার্ট চলাকালীন ম্যাডোনা ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দ্ব সম্পর্কে একটি শক্তিশালী এবং আবেগপূর্ণ বিবৃতি দেওয়ার জন্য তার পারফরম্যান্স মাঝপথে থামিয়ে দেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত নিরীহ জীবনের আবেগে ভেসেছেন। শিশুদের সঙ্গে নির্মম হত্যার ঘটনার জন্যে মঞ্চেই কেঁদে দিয়েছেন ম্যাডোনা। হামাস গাজা উপত্যকাকে কেন্দ্র করে ইজরায়েলের উপর বড় হামলা শুরু করেছে ফিলিস্তিনিরা, রকেটের ভারী ব্যারেজ দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেছে। যা কিনা আশ্চর্যজনক আক্রমণ। ইসলামিক জিহাদ বলছে তাদের যোদ্ধারা হামলায় যোগ দিয়েছে। লন্ডনের O2 এরিনায় তার উদযাপন সফরের সময়, ম্যাডোনা বলেছিলেন, “ইজরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে এখন যা ঘটছে তা হৃদয়বিদারক। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় জিনিসগুলো দেখে হতভম্ব। আমি দেখছি কীভাবে শিশুদের অপহরণ করা হচ্ছে, মোটরসাইকেল থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মহিলাদের। শিশুদের শিরচ্ছেদ করা হচ্ছে, শান্তিতে থাকা শিশুদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষ কিভাবে একে অপরের প্রতি এত নিষ্ঠুর হতে পারে? আমরা সবাই মোমবাতি, আমরা পৃথিবীতে আলো আনতে পারি। আমরা যদি যথেষ্ট আলো জ্বালাই, তাহলে উদারতা এবং ঐক্যের সম্মিলিত চেতনা বদলে যাবে। কোন রাজনীতিবিদ, কোন আইন, কোন নিষেধাজ্ঞা, কোন জমি দেওয়া বা নেওয়া. আমরা, আমাদের চেতনা দিয়ে, পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে পারি।”
হামাস ইজরায়েলে ৭ অক্টোবর থেকে আক্রমণ চালিয়েছে। সেখানে ৫০০০ রকেট নিক্ষেপ করে, যার পরে ইজরাইল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধটি উভয় পক্ষের জন্য পাঁচটি গাজা যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হয়ে উঠেছে, এতে ৪০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ গাজা উপত্যকায় তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে