নিজস্ব প্রতিনিধি: সাংসদ পদে হ্যাট্রিক করতে চলেছেন টলিউড সুপারস্টার দেব। তাঁর রাজনীতি কেরিয়ারের লক্ষীমন্ত কেন্দ্র পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। ২০১৪ থেকে ঘাটাল কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়িয়ে জিতেছেন তিনি। তাই ঘাটাল তাঁর রাজনীতি কেরিয়ারের লক্ষীমন্ত কেন্দ্র। তবে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম থেকেই জল্পনা উঠেছিল যে, আর রাজনীতিতে থাকতে চাইছেন না দেব। তাই ঘাটালের প্রার্থী হিসেবে কার্যত দেবকে নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল তৃণমূলের। আর এই জল্পনা উস্কে তারকা নিজেই। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের উপর তাঁর নিশ্চয়তা তৈরী হয়েছিল। তাই ভেবেছিলেন অভিনেতা হিসেবে বাকি জীবনটা তিনি কাটিয়ে দেবেন।
কিন্তু রাজ্যের শাসকদল যে অন্যরকম পরিকল্পনা করে রেখেছে নায়ককে নিয়ে তা বলাই বাহুল্য! দলের গুড বয়কে হাতছাড়া করতে একেবারে নারাজ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে ১০ মার্চ তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় বিশাল চমক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই, সেই একই কেন্দ্র থেকে দেবকেই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়, আর এতে অমতও করেননি সুপারস্টার। এরপরেই নিজের কেন্দ্র থেকে প্রচার শুরু করে দেন অভিনেতা। আর প্রচারে নেমেই একের পর এক চমক নায়কের। কখনও দলীয় কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে চায়ে চুমুক দিচ্ছেন, আবার কখনও রাস্তার দোকান থেকে পান কিনে খাচ্ছেন। একেবারে মাটির মানুষ তিনি। গতকাল রাতে অভিনেতা-সাংসদ প্রচারে গিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াতে।
সেখানেই একটি সভাতে অভিনেতা জানালেন, কেন তিনি রাজনীতি ছেড়ে তাঁর নিজের জগতে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। ঘাটাল লোকসভার প্রার্থী দেব বলেন, “ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। আমি বলেছিলাম করে দেব। কিন্তু করে দিতে পারিনি। তাই রাজনীতি জগত ছেড়ে দিয়ে নিজের অভিনয় জগতে ফিরে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দিদি আমাকে বললো যে রাজনীতিতে তোমার মতো ছেলের পয়জন। আমি দিদিকে বলেছিলাম যদি ঘাটার মাস্টার প্ল্যান রাজ্য সরকার করে দেয় তবেই আমি রাজনীতিতে ফিরবো। দিদি কথা রেখেছে। আরামবাগের সভার থেকে ঘোষণা করেছে, ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনার কাছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাগজ জমা পড়েছে। দুটো কাজ শুরু করার আবেদনও করেছি।”