নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: অনাস্থায় হেরে গিয়ে নির্ধারিত মেয়াদের আগেই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি খোয়াতে হয়েছিল ইমরান খানকে। বৃহস্পতিবার সাংসদপদ হারা হলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। এদিন সাংসদপদে ইমরান খানের ইস্তফা গ্রহণ করেছেন পাক জাতীয় পরিষদের উপাধ্যক্ষ কাসেম সুরি। শুধু ইমরান খানই নয়, গণহারে ইস্তফা দেওয়া পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের ১২২ জন সাংসদের ইস্তফা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে ওই শূন্য পদে নতুন করে নির্বাচন হবে নাকি পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত ওই আসনগুলি শূন্য থাকবে তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
গত ১১ এপ্রিল পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনের আগেই জাতীয় পরিষদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর দলের ১২৩ জন সাংসদ। লুটেরাদের সঙ্গে সংসদে বসতে চান না বলে জানিয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন পাকিস্তান তেহরিক ইনসাফ দলের সাংসদরা। আর তার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ।
ইমরান ও তাঁর দলের সদস্যদের ইস্তফা গ্রহণ করা হবে কিনা, তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। কিন্তু এদিন জাতীয় পরিষদের উপাধ্যক্ষ কাসেম সুরি ইস্তফা গ্রহণের কথা জানান। ইস্তফা গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানার পরেই নিজের দলের পদত্যাগী সাংসদদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘যারা সার্বভৌম পাকিস্তানের পক্ষে ও আমেরিকা সমর্থিত সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমে আসামি, দণ্ডপ্রাপ্ত ও জামিনে থাকা ব্যক্তিদের ক্ষমতায় আনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন তাঁদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’