আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইলিশ ধরায় ৩১ জন মৎস্যজীবী গ্রেফতার। প্রত্যেককে একবছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল বাংলাদেশের আদালত। অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় এই শাস্তির বিধান।
এখন ইলিশের প্রজননের সময়। আর তাই বর্তমানে নদীতে ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বাংলাদেশে। মৎস্য দফতরের আধিকারিকরা জানান, প্রতি বছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে ডিম পাড়ার জন্য, সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে আসে। তাই এই সময় ইলিশ ধরা বন্ধ থাকে। ২০০৮ সাল থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে ওপার বাংলায়। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে এবং ইলিশ যাতে নিশ্চিন্তে এবং নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারে সেই জন্য এবছর ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশজুড়ে মৎস্যজীবীদের ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও অনেক মৎস্যজীবী এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছেন বলে অভিযোগ। তাই এই বিষয়ে অতিরিক্ত নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।
শনিবার সে দেশেরক মাদারীপুরে শিবচরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরছিলেন কিছু মৎস্যজীবী। জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও শিবচর উপজেলা মৎস্য দফতর, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ওইসময় যৌথ অভিযান চালাচ্ছিল কাঁঠালবাড়ি, বাংলাবাজার, চরজানাজার, নাওডোবা-সহ পদ্মা নদীর কয়েকটি এলাকায়। তখনই ৩১ জন মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। ১ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই অভিযানে প্রায় ২০ কেজি ইলিশ এবং ২০ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভোলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ৪৪ জন মৎস্যজীবীকে। তাদের থেকে কম পরিমাণ ইলিশ মিলেছে। তবুও প্রত্যেককে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
