আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লিখতে বলা হয়েছিল দাদা-বোনের যৌন সম্পর্ক নিয়ে। লিখতে হবে অনধিক তিনশো শব্দের মধ্যে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃপক্ষের কানে যেতেই ওই অধ্যাপকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামাবাদের দ্য কমস্যাট বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ওই বিষয়ে রচনা লেখার নির্দেশ দেন। বিষয়টি পাঁচকান হতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই অধ্যাপকে বরখাস্ত করে।
দাদা বোনের যৌন সম্পর্ক নিয়ে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের তিনশো শব্দের মধ্যে রচনা লিখতে বলেন খায়ের উল বাসার। প্রশ্নে কিছু সূত্র তুলে দেওয়া হয়। সূত্রগুলি এরকম।
জুলি আর মার্ক সম্পর্কে ভাইবোন। কলেজে গরমের ছুটিতে তারা গিয়েছে ফ্রান্সে। এক রাতে তারা সমুদ্র সৈকতের একটি কেবিনে ছিল। ভাই-বোন সিদ্ধান্ত নেয় রাতটা একটু অন্যরকম করে কাটাতে। জুলি গর্ভনিরোধক ওষুধ সেবন করে। আর ভাই মার্ক ব্যবহার করে কন্ডোম। তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। সেই রাতে এই দুয়ের কাছে ছিল বিশেষ একটি রাত।
এরপর প্রশ্ন – তোমাদের মতামত কি? তোমরা কি মনে কর এই যৌন সম্পর্ক ঠিক না ভুল। উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি পেশ কর। লিখতে হবে তিনশো শব্দের মধ্যে। প্রশ্নপত্র পেয়ে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পডু়য়ারা রীতিমতো বিস্মিত। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কানে যায় বিষয়টি। প্রশ্নপত্র সিজ করা হয়। বাতিল করা হয় উত্তর। অধ্যাপককে পত্রপাঠ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে হৈচৈ পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন Afghanistan: টিভি সাক্ষৎকারে ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেললেন অধ্যাপক