আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্বামীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে এক গর্ভবতীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল পা-পঞ্জাব। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ঝিলম শহরে। পাক-পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবজা শরিফ দুষ্কৃতীদের ধরতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। অপরাধীধের খোঁজে পুলিশ বিশেষ দল গঠন করেছে। শুরু হয়েছে চিরুণী তল্লাশি। নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাক-পঞ্জাব পুলিশের আইজিপি কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বিবৃতি উদ্ধৃত করে পাক পঞ্জাব পুলিশ এই নারকীয় ঘটনার খবর দিতে গিয়ে জানিয়েছে, পাঁচ যুবক ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। প্রথমেই তারা মহিলার স্বামীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে এক এক করে পাঁচ যুবক স্বামীর সামনে মহিলার ওপর নির্যাতন চালায়। মহিলা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় স্বামীকে শেকল মুক্ত করেন। পরে মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সঙ্গে থানায় দায়ের করা হয় অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই পাঁচ যুবক এলাকারই বাসিন্দা। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার রক্ত পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই পাঁচ বাহুবলীকে খুঁজে বের করতে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ দল।
পাকিস্তানে এই ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। গত মাসে চলন্ত ট্রেনে তিনজনে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে। এই তিনের মধ্যে একজন আবার টিকিট পরীক্ষক। মহিলা করাচি থেকে মুলতান যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকট পাকিস্তানে, অন্ধকারে ডুববে দেশ, মাথায় বাজ প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের