আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফের কম্পন তুরস্কে। এবার শক্তিশালী কম্পনের ছোবল দেশের মধ্যপ্রান্তে। কম্পনের মাত্রা ৫.৬ রিখটার স্কেল। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তুরস্ক একাধিকবার কেঁপে ওঠায় মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, সে ব্য়াপারে কেউ কিছু আন্দাজ করতে পারছে না। প্রতিটি আফটার শকও শক্তিশালী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, ভূমিকম্পের মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে ৩০ হাজার।
সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা সাড়ে চার হাজার বলা হয়েছে। আহত কত, তার কোনও হিসেব সরকারের কাছে নেই। উদ্ধারকারীদল লাশ গুনতে গুনতে ক্লান্ত। কম বেশি সকলেই নিশ্চিত, তুরস্ক কার্যত গ্রাউন্ড জিরোতে পরিণত হতে চলেছে। ভূমিকম্পে এমনিতে জেরবার দেশ। মরার ওপর খাঁড়ার ঘা তুষারপাত। ফলে, যারা বেঁচে গিয়েছে তাদের জন্য কোথাও অস্থায়ী ত্রাণ শিবির তৈরি করা যায়, তার দিশা খুঁজে পাচ্ছে না সরকার। হাসপাতালের মর্গে উপচে পড়ছে লাশ। তাদের শনাক্ত করতে পরিবারের লোক তুষারপাত উপেক্ষা করে হাসপাতালে ভিড় করেছে। কমবেশি সব হাসপাতালের চিত্র এতটাই সকরুণ যে কম্পনে আহতদের ভর্তি করাই প্রায় অসাধ্য হয়ে পড়েছে।
গত সোমবার সকালে থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তুরস্কের কম্পনের গড় মাত্রা পাঁচ। আর আফটারশকের গড় মাত্র চার। ফলে, যারা বেঁচে গিয়েছেন, তারা নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। যদিও তাদের সেই বেঁচে থাকা অনেকটাই না মরে বেঁচে থাকার সমান। মৃতের সংখ্যা কোথায় থামে সেটাই এখন সকলেই দেখতে চাইছে।