আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক বিধবা মহিলার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন এক পুলিশ অফিসার। রাতের অন্ধকারে সুযোগ বুঝে প্রায়ই গোপন অভিসারে যেতেন ওই মহিলার ঘরে। ঘটনা টের পেয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাও তক্কে তক্কে ছিলেন, অবশেষে শুক্রবার রাতেই পড়লেন ধরা। একেবারে তাঁকে ওই বিধবা মহিলার ঘরে হাতেনাতে ধরেন এলাকাবাসী। অভিযোগ, বেদম মারধোর করা হয়েছে এএসআই পদমর্যাদার ওই পুলিশকর্মীকে। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বাংলাদেশের দক্ষিণে পটুয়াখালির বাউফল এলাকায়। আপাতত ওই অফিসারকে পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে, বাউফল থানার এএসআই মহম্মদ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে স্থানীয় এক বিধবা মহিলার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। শুক্রবার বেশি রাতে স্থানীয় মানুষজন তাঁকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন আপত্তিকর অবস্থায়। এরপরই তিনি পুলিশকর্মীর পরিচয় দিয়ে স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতাকে ফোন করেন। যাতে উত্তেজিত জনতা আরও ক্ষেপে একটি ঘরে আটকে রেখে গিয়ে রফিকুলকে ধরে ব্যাপক মারধর করে।
সেসময় ওই পুলিশকর্মী স্থানীয় মানুষজনের পা ধরেও ক্ষমা চান বলে জানা গিয়েছে। যদিও গণপিটুনীর পর পুলিশের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে ওই পুলিশকর্মীকে। এই বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আল মামুন বলেন, ‘রফিকুলকে বদলি করে জেলা পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়েছে’। তবে গণপিটুনির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা জানা যায়নি।