নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: রাত পোহালেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর ওই নির্বাচনের ২৪ ঘন্টা আগে রক্তে ভাসল পাকিস্তানের মাটি। বুধবার বালুচিস্তানের দুই জায়গায় জোড়া বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২৬ জন। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ৩০ জন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের আশঙ্কা। যদিও কোনও জঙ্গি সংগঠন এখনও পর্যন্ত ওই আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় শিকার করেনি। শুধু পিসিন নয়, আরও একাধিক জায়গায় বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের বাড়ি এবং কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আগামিকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। অবাধ ও নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে। নিরাপত্তার কড়া চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা দেশকে। কিন্তু তা কার্যত বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোতে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের বাড়ি ও ভোটকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি হামলার খবর মিলেছে বালুচিস্তান প্রদেশ থেকে।
এদিন সকালে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে পিসিনে। নির্দল প্রার্থী আসফানদার কাকরের কার্যালয়ের সামনে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৪ জন ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছেন। ঝলসে গিয়েছেন আরও ৩০ জন। পিসিনের জেলাশাসক (ডেপুটি কমিশনার) জুম্মা দাদ খান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করতেই ওই ন্যক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে।’ পিসিনের বিস্ফোরণের ঘটনার নিন্দা করেছেন দেশের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাক্কর। পিসিনের ঘটনার খানিকবাদে কিলা সাইফুল্লায় বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১২ জন।