আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইংলিশ চ্যানেলে ভয়াবহ নৌকাডুবি। প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ শরণার্থী। মৃতদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা। ইংলিশ চ্যানেলে সাম্প্রতিক অতীতে এত বড়ো নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেনি। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের দেওয়া তথ্য সে কথাই বলছে। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের নৌবাহিনী একযোগে উদ্ধারকাজে নেমেছে। এই খবর লেখা পর্যন্ত দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিয়ান ক্যাসটেক্স এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিশ জনসন ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ক্যাসটেক্স নিজের টুইটার হ্যান্ডলে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপনের পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। টুইটার হ্যান্ডেলে ক্যাসটেক্স লিখেছেন, “ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবির ঘটনায় আমি মর্মাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি রইল আমার সমবেদনা।শরণার্থীরা সকলেই শোষণের শিকার। তাদের অভাবের সুয়োগ নিয়ে এক চক্র অন্য দেশে পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল।’’ টুইটার হ্যান্ডেলে ঘটনার শোক প্রকাশ করে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিশ জনসন লিখেছেন,‘আমি বিস্মিত। মর্মাহত।’
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবর অনুযায়ী, এই সব শরণার্থীদের ব্রিটেনে পাচারের চেষ্টা চলছিল। চার পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী গেব়্যাল্ড ডারমেইন এই ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, ইংলিশ চ্যানেলে ভয়াবহ একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এরা সকলেই শরণার্থী। টাইমস নিউজ পেপার এই ঘটনার উল্লেখ করে বলেছে, মৃতদের মধ্যে একজন আফগান নাগরিক।
নৌকাডুবির ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রঙ। ব্রিটেনের প্রধানবমন্ত্রী বরিশ জনসনের বিবৃতি অনুযায়ী, তিনি এই ব্যাপারে ফ্রান্সকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। পাল্টা বিবৃতি দিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।