আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ দেড় মাস পর গাজা-ইজরায়েল যুদ্ধে অবশেষে গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) থেকে চার দিনের যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হয়েছে। মুক্তি পাচ্ছে উভয় পক্ষেরই বন্দীরা। গাজায় চলমান চার দিনের যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে ইজরায়েলের মন্ত্রীসভায় আলোচনা হয়েছে। গতকাল রবিবার (২৬ নভেম্বর) বৈঠকে বসে ইজরায়েলের মন্ত্রীসভা। সেখানেই এই আলোচনা হয়।
এক মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যুদ্ধ বিরতি চুক্তির শর্ত সাপেক্ষ মেয়াদ বাড়াতে রাজি হয়েছে ইজরায়েল সরকার। হামাস যদি প্রতিদিন ১০ জন করে বন্দীকে মুক্তি দেয়, তাহলে একদিন করে যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। এই শর্তের কথাই বলেছে ইজরায়েলের মন্ত্রিসভা।
তবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, চার দিনের যুদ্ধ বিরতি শেষ হলেই গাজায় পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করে হামলা শুরু করবে ইজরায়েলি বাহিনী। একথা তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানিয়েছেন।
এদিকে যুদ্ধ বিরতির চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় দিনে (২৫ নভেম্বর) কারাগারে বন্দি আরও ৩৯ প্যালেস্তাইনিকে মুক্তি দিয়েছে ইজরায়েল। এর ঠিক দুই ঘণ্টা আগে চার বিদেশি নাগরিকসহ ১৩ ইজরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। প্রথমদিনে ১৩ জন ইজরায়েলি ও ১২ জন থাই নাগরিককে মুক্তি দেয় হামাস। এর আড়াই ঘণ্টা পর কারাগার থেকে ৩৯ জন প্যালেস্তাইনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইজরায়েল।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর হওয়া হামাস গোষ্ঠীর রকেট হামলায় নিহত প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। হামাস গোষ্ঠী পণবন্দি করে ২০০ জনের বেশি ইজরায়েলিকে। তারপর থেকেই গাজাকে হামাস মুক্ত করতে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। বোমা বর্ষণের তীব্রতায় ইতিমধ্য়েই ভয়াবহ পরিস্থিতি প্য়ালেস্তাইনের গাজার। বন্ধ খাবারের সরবরাহ। অভুক্ত হাজার হাজার শিশু। ইজরায়েলের হামলায় ১৪ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই শিশু।