আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ এখন অব্যাহত গাজা এবং ইজরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ। প্রথমে উত্তর গাজায় হামলা চালালো ইজরায়েল বাহিনী এরপর দক্ষিণ গাজায় শুরু হয় হামলা। এই বিরামহীন সংঘর্ষের জেরে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা। এই বিরামহীন হামলার জেরে গাজায় খাবার সরবারহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এরজেরে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করলো জাতিসংঘ।
৬১দিনে পদার্পণ করলো গাজা – ইজরায়েলি যুদ্ধ। গত ২৪ ঘণ্টায় ইজরায়েলি হামলায় ৭৩ প্যালেস্তানি প্রাণ হারিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ইজরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত দের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। অন্যদিকে ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের মতো নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩২০ জনের মতো সেনা রয়েছেন। এই হামলার পরেই গাজার ওপর হামলা শুরু করে ইজরায়েল বাহিনী।
ইজরায়েলের বিরামহীন হামলার কারণে গাজায় বাস্তুচ্যুত মানুষদের কাছে ত্রাণসহায়তা পৌঁছানো না গেলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, ‘নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ার ফলে ত্রাণ বিতরণ করা যাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে ত্রাণকর্মীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে। এই হামলার ফলে সাধারণ মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। বর্তমানে গাজায় ২০ লাখ মানুষের বেঁচে থাকার সম্বল হলো এই ত্রাণের খাদ্যশস্য।’
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) আরও জানিয়েছে,’গাজার ভূখণ্ডে যদি ত্রাণকর্মীদের জীবন সুরক্ষিত হয় তাহলেই এই তারা খাদ্যশস্য পাবে।‘ বর্তমানে গাজার বর্তমান পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা নেই। তাই দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হলেই এ মানবিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। তবে কবে এই শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে সেই দিকেই তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব।