আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ২ অক্টোবর দিনটি আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে পালিত হয়। তার আগের দিন জাতিসঙ্ঘর সাধারণ সভায় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে দেখা গেল ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধিকে। দিলেন সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা। বোঝালেন অহিংস আন্দোলনের গুরুত্ব। বলা হচ্ছে এই প্রথম জাতিসঙ্ঘের বিশেষ প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয় মহাত্মা গান্ধিকে।
সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, এই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতিসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ইউনেস্কো মহাত্মাগান্ধি ইন্সটিটিউট অব এডুকেশন ফর পিস অ্যান্ড সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট (MGIEP )। অনুষ্ঠান হয়েছিল জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরে। আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন জাতিসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ, দ্য কিং সেন্টারের সিইও আটলান্টা বের্নাইস কিং-সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউনেস্কো মহাত্মাগান্ধি ইন্সটিটিউট অব এডুকেশন ফর পিস অ্যান্ড সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্টের ডিরেক্টর অনন্থ দুরাইয়াপ্পা।
সেই অনুষ্ঠানে শিক্ষা সম্পর্কে গান্ধিজির রেকর্ড করা বক্তব্যের কিছুটা বাজিয়ে শোনানো হয়। মহাত্মা গান্ধিকে বলতে শোনা গেল সাক্ষরতা শিক্ষার শুরু বা শেষ নয়। শিক্ষা বলতে আমি বুঝি যা শিশু থেকে পরিণত একজন মানুষের মন, দেহকে পবিত্র করে তুলবে। তাদের দিতে হবে আধ্যাত্মিক শিক্ষা। শিক্ষা আমার কাছে এমন কিছু যা মানুষকে হৃদয়বান করে তুলবে।
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে আজকের দিনে বিশ্ব মহাত্মা গান্ধির আদর্শ, তার শিক্ষাকে ভুলে গিয়েছে। বিশ্বজুড়ে বাড়ছে বিদ্বেষ।