নিজস্ব প্রতিনিধি: বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশে চলতে থাকা সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে এবার মুখ খুলল আমেরিকা। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে কড়া ভাষায় এই হিংসার ঘটনার নিন্দা করে করতে দেখা গেল মার্কিন মুলুককে। সোমবার রাতে এই ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি মার্কিন বিদেশ দফতর, যেখানে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ দফতরের শীর্ষকর্তা বাংলাদেশ তথা শেখ হাসিনার সরকারকে কার্যত তুলোধোনা করে বলেছেন, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার। বিশ্বের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপদে নিজেদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের অধিকার রয়েছে। তাই বিগত কয়েক দিনে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে আমেরিকা।’
একইভাবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থাগলিও এবার কলম তুলেছে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁরা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। সেই সঙ্গে আমেরিকার প্রবাসী বাংলাদেশি হিন্দু সংস্থাগুলিও মার্কিন সরকারের কাছে হিন্দুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মার্কিন ভিত্তিক হিন্দু অ্যাডভাইজারি গ্রুপ ‘হিন্দু প্যাক্ট’-এর নির্বাহী পরিচালক উৎসব চক্রবর্তী ইতিহাস টেনে এনে সম্প্রতি লিখেছেন যে, ‘বাংলাদেশের নোয়াখালিতে শেষ অবশিষ্ট হিন্দু পরিবারের উপর যেভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছে তা অত্যন্ত নিন্দাজনক। ঠিক একইভাবে ৭৫ বছর আগে ইসলামপন্থীরা বাংলাদেশের ১২ হাজার হিন্দুকে হত্যা করে এবং ৫০ হাজার হিন্দুকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হয়েছিল।’ পাশাপাশি হিন্দি প্যাক্ট একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জানিয়েছে, ১৯৪০-এর পর থেকে সংখ্যালঘু এবং আদিবাসী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সমানে ঘৃণা এবং বৈষম্যের অত্যাচার চালানো হচ্ছে। আর মূলত সেই কারণে ১৯৪০ সালে এই দেশে সংখ্যালঘুর সংখ্যা যেখানে প্রায় ২৮ শতাংশ ছিল আজ তা কমে ৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।