আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিদ্যুতের অভাবে গাজার আল শিফা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি থাকা ২২ রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। শুক্রবার রাতে এই মর্মান্তিক খবর জানিয়েছেন হাসপাতালের প্রধান মুহাম্মদ আবু সালমিয়া। পাশাপাশি জাবিলিয়া শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি ঘাতক বাহিনীর হামলায় আরও ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মদতে গাজাকে বধ্যভূমি করে তুলেছে ইজরায়েলি ঘাতকরা তাতে মৃত্যুর মিছিল কোথায় গিয়ে থামবে তা ভেবে শিহরিত প্যালেস্টাইনের শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
হামাসের হামলার বদলা নিতে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ও পশ্চিম তীর এলাকায় বসবাসরত নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে ইজরায়েলের ঘাতক বাহিনী। ওই হত্যাযজ্ঞে এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১১ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। তার মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। যদিও গত কয়েকদিন ধরে ইজরায়েলের স্থল অভিযানের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ফলে প্রকৃত পক্ষে কতজন প্রাণ হারিয়েছেন তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
গত কয়েকদিন ধরে গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কেন্দ্র আল শিফা হাসপাতালে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলের ঘাতক বাহিনী। ওই অভিযানের ফলে হাসপাতালের বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সংযোগ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। জল ও বিদ্যুতের অভাবে এক অবর্ণণীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে। আল শিফা হাসপাতালের প্রধান মুহাম্মদ আবু সালমিয়া জানিয়েছেন, ‘এক রাতেই বিদ্যুতের অভাবে আইসিইউতে থাকা ২২ রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকেই চিকিৎসার অভাবে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।’ অন্যদিকে, গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে ইজরায়েলি হামলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ায় অস্থায়ী হাসপাতাল (ফিল্ড হাসপাতাল) তৈরির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।