নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: আর্থিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগোল পাকিস্তান। শুক্রবার এক মার্কিন ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ২৭৬ টাকা ৫৮ পয়সা। আর মার্কিন ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চড়েছে সোনার দামও। আন্তর্জাতিক বাজারে যেখানে সোনার দাম প্রতি আউন্সে ৪৪ ডলার কমেছে, সেখানে দেশে এক ধাক্কায় সোনার ভরি বেড়েছে ১,৩০০ টাকা। যার ফলে প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৮ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ ৭৮ হাজার ৬৫৫ টাকা। পরিস্থিতি যা তাতে সোনার দাম যে কোনও দিন আড়াই লক্ষের গণ্ডি ছাড়াতে পারে।
গত কয়েক মাস ধরেই আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে পাকিস্তান। পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে ভিক্ষার ঝূলি নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার সহ একাধিক সংস্থা ও দেশের কাছে হত্যে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, বিলাওয়াল ভুট্টোরা। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। ঋণ দেওয়ার জন্য একাধিক কঠোর শর্ত চাপিয়েছে আইএমএফ সহ আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানগুলি। যে কঠিন শর্ত প্রথমে মানতে রাজি হয়নি পাক সরকার। কিন্তু দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু যাতে না হয় তার জন্য এদিন ওই শর্ত মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
একদিকে যখন আর্থিক সঙ্কট তুঙ্গে ঠিক তখনই দুঃসংবাদ শুনিয়েছে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার প্রায় নিঃশেষ। মাত্র ৩০০ কোটি ডলার পড়ে রয়েছে। ওই সামান্য বিদেশি মুদ্রা দিয়ে বড়জোড় ১৮ দিনের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। তার মধ্যে কোনও সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য না পেলে বিদেশ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।