নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বের তাবড় তাবড় কোম্পানিগুলির সিইও-দের বেতন শুনলে চোখ ধাঁধিয়ে যায় আমজনতার। সিইও-দের বেতন নির্ভর করে সংস্থার শেয়ার দরের উপর। আমাজন, টেসলার মতো বৃহৎ সংস্থাগুলির শেয়ারদর গত বছর কমেছে অনেকটা। যার ফলে এই সংস্থাগুলির সিইও-দের বেতন–ভাতাও কমেছে। গত ১০ বছরে আমেরিকায় এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল।
আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২২ সালে টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) ইলন মাস্কের বেতন আগের বছরের চেয়ে কমেছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার কোটি ডলার। অন্যদিকে গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের বেতন ভাতাও কমেছে। ২০২২ সালে সুন্দর পিচাইয়ের বেতন–ভাতা ছিল ২৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার, বর্তমানে যা ১১ কোটি ৫৮ লাখ ডলারে। শুধু গুগল ও টেসলার সিইও নয়, বেতন কমেছে আরও একাধিক সংস্থার সিইওদের। এক্সপেডিয়ার সিইও পিটার কার্নের বেতন-ভাতা কমেছে ২৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার বেতন-ভাতা কমেছে আমাজন ডটকমের সিইও অ্যান্ডি জেসিরও।
তবে একাধিক সংস্থার সিইও-দের বেতন বৃদ্ধিও হয়েছে। রিজেনেরন ফার্মাসিউটিক্যালসের সিইও লিওনার্ড শ্লেইফারের বেতন-ভাতা ৭০ লাখ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ কোটি ডলার। টি মোবাইলের সিইও মাইকেল সিয়েভার্টের বেতন ভাতা ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার থেকে বেড়েছে প্রায় তিন গুণ।