নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: পৃথক তিন মামলায় তাঁকে ৩১ বছর জেলের সাজা শুনিয়েছে নিম্ন আদালত। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর পাশাপাশি জেলের সাজাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।
গত বছরের ৫ অগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের সুপ্রিমো ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছর কারাদণ্ডের রায় দেন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (এডিএসজে) হুমায়ুন দিলাওয়ার। আর ওই রায় ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই লাহোরের জামান পার্কের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। নজিরবিহীন তৎপরতায় ইমরানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আদিয়ালা জেলে বন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। জেলে বন্দি থাকাকালীনই সরকারি গোপন নথি ফাঁস বা সাইফার মামলায় গত ৩০ জানুয়ারি ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায় বিশেষ আদালত। এর একদিন পরেই তোশাখানা মামলায় ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিবাহ বিচ্ছেদের পর শরিয়া আইন মেনে ইদ্দতকাল পালন না করার অভিযোগে ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়