আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হিজাব বিরোধী আন্দোলনে ফুঁসছে আয়াতুল্লা আলি খামেইনির দেশ। বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে এবং মৃত্যুদণ্ড দিয়েও আন্দোলন দমানো যাচ্ছে না। উল্টে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। আর দেশজুড়ে হিজাব বিরোধী আন্দোলন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ার পিছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলির ইন্ধন রয়েছে বলে সোমবার অভিযোগ করেছেন ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসির কানানি।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদের নামে দেশজুড়ে যে হিংসাত্মক আন্দোলন চলছে তার পিছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলির মদত রয়েছে। এছাড়া আমেরিকার বেশ কিছু বন্ধু দেশও ওই আন্দোলনে ইন্ধন জুগিয়ে চলেছে। হিজাব বিরোধী আন্দোলনে যে পশ্চিমা দেশগুলির মদত রয়েছে সে সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণও আমরা জোগাড় করেছি।’ যদিও ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র।
গত সেপ্টেম্বর মাসে হিজাব না পরার অপরাধে ২২ বছর বয়সী কুর্দিস তরুণী মাহশা আমিনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। আর ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ইরানজুড়ে শুরু হয় হিজাব বিরোধী আন্দোলন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দেশের ক্রীড়াবিদ সহ সেলেবরাও পথে নেমেছেন। আন্দোলন দমাতে দমনপীড়নের পথ বেছে নিয়েছে ইরান সরকার। ইতিমধ্যে ১৪ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছয় বিক্ষোভকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যদিও তাতে পিছু হঠছেন না আন্দোলনকারীরা।