এই মুহূর্তে




চিন সফরে গিয়ে প্রথম দিনেই চরম অপমানিত মোল্লা ইউনূস




নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী আর অবৈধ সরকারের প্রধান হওয়ার মধ্যে পার্থক্য কতটা বুধবার (২৬ মার্চ) তা হাড়ে-হাড়ে টের পেলেন মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। গত কয়েকদিন ধরেই তদারকি সরকারের তরফ থেকে প্রধান উপদেষ্টার চিন সফর নিয়ে ঢাক-ঢোল পেটানো হয়েছিল। চাকরি বাঁচাতে তদারকি সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা আর ‘পোষ্যভৃত্য’ বিদেশ সচিব কোরাস সুরে দাবি করেছিলেন ইউনূসের সফর চিন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তদারকি সরকারের পোষ্যভৃত্যরা দাবি করলেও ভিক্ষার ঝুলি হাতে যাওয়া মোল্লা ইউনূসের সফরকে যে শি চিনপিংয়ের সরকার কোনও গুরুত্বই দিচ্ছে না, তা প্রথম দিনেই স্পষ্ট। পাকিস্তানের পোষ্যভৃত্যকে স্বাগত জানাতে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজনই করেনি চিন সরকার। এমনকি কোনও শীর্ষ নেতা বা মন্ত্রীকে পাঠায়নি বিমানবন্দরে। প্রথম দিন ইউনূসকে অভ্যর্থনা জানাতে চিনের এমন শীতল মনোভাব কূটনীতিবিদদের চোখে লেগেছে। দীর্ঘদিন কূটনীতিবিদ হিসাবে কাজ করা এক প্রাক্তন বিদেশ সচিবের কথায় ‘মনে রাখতে হবে, ভিখারিকে কেউ সাদরে আমন্ত্রণ জানায় না।’

বুধবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ফেলে রেখেই চিন সফরে গিয়েছেন মোল্লা ইউনূস। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে তাঁকে বহনকারী বিমানটি চিনের হাইয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন হাইয়ান প্রদেশের ভাইস গভর্নর কিয়ংহাই বো ও দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম। এক কম দামি ফুলের তোড়া তুলে দেওয়া হয় ইউনূসের হাতে। বাংলাদেশের অবৈধ সরকারের মুখিয়ার সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং সহ শীর্ষ মন্ত্রীদের বৈঠকের কোনও সম্ভাবনা নেই। অন্তত চিনের স্টেট কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রিমিয়ার দিং ঝুঝিয়াং যাতে দেখা করার সময় দেন তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

অথচ গত বছরের জুলাই মাসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বেজিং গিয়েছিলেন তখন রাজকীয় সংবর্ধনা জানানো হয়েছিল চিন সরকারের তরফে। ৮ জুলাই বেজিং বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই সঙ্গে গার্ড অব অনার দিয়েছিল চিনা লাল ফৌজ। গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। যদিও ওই সফরও খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি। প্রতিশ্রুতিমতো অর্থ সাহায্য দেওয়ার কথা রাখেনি চিন সরকার। এমনকি চিনের বিদেশ মন্ত্রীও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেননি। সেই সঙ্গে চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমও শেখ হাসিনার সফরকে ততটা গুরুত্ব দেয়নি। যে কারণে অসন্তুষ্ট হয়ে একদিন আগেই ঢাকায় ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায় ‘চিন বাংলাদেশকে ভিখারি দেশ ছাড়া আর কিছু মনে করে না। তাই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সফরকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। শেখ হাসিনা নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় খানিকটা সম্মান পেয়েছিলেন। ইউনূসের কপালে তা যে জুটবে না প্রথম দিনেই পরিস্কার।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি তুঙ্গে, ব্রিকস বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন না জয়শঙ্কর-ডোভাল

পহেলগাঁওকাণ্ডের জের, নিয়মের গেরোয় মাকে ছেড়ে পাকিস্তানে ফিরতে হল একরত্তি শিশুকে

‘ধর্মবিরোধী’ অভিযোগে গ্রন্থাগার থেকে নজরুল-রবীন্দ্রনাথের বই লুট করল মৌলবাদীরা

‘১৩০টি পারমাণবিক অস্ত্র ভারতের দিকে তাক করা’- পহেলগাঁও হামলার পর প্রকাশ্য হুমকি পাক মন্ত্রীর

কানাডার উৎসবে রক্তক্ষয়ী হামলা, ঘাতক গাড়ির চাকায় পিষ্ট বহু মানুষ

ইরানের বন্দরে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ, মৃত বেড়ে ১৪, আহত ৭৫০

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর