আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপে ফের নতুন করে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ আরও একাধিক দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। তাই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিদেশিদের জন্য সীমান্ত না খোলার সিদ্ধান্ত নিল নিউজিল্যান্ড সরকার। বুধবার দেশটির করোনা মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স জানিয়েছেন, ‘বিদেশীদের নিউজিল্যান্ডে আসার জন্য আরও পাঁচ মাসের মতো অপেক্ষা করতে হবে। এপ্রিলের শেষের দিকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে। তবে যাঁরা করোনার টিকা নিয়েছেন, তাঁরাই শুধুমাত্র প্রবেশের অনুমতি পাবেন।’
চিনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের বেনজির তাণ্ডবে কার্যত বিশ্বের অনেক শক্তিশালী দেশ যখন লণ্ডভন্ড হয়ে পড়েছে, তখন মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় গোটা দুনিয়ায় নজির স্থাপন করেছে নিউজিল্যান্ড। ওশেনিয়া মহাদেশের দেশটিতে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১০ হাজার ৬০৯ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪০ জন।
নতুন করে যাতে কোনও বিদেশী নাগরিকের মাধ্যমে দেশে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ না ছড়ায়, তার জন্য প্রথম থেকেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। গত বছরের মার্চে সীমান্ত বন্ধ করার পাশাপাশি বিদেশীদের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
পড়শি দেশ অস্ট্রেলিয়া আগামী ১ ডিসেম্বর থেকেই বিদেশীদের জন্য বিদেশীদের ভিসা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ফলে সেই পথে নিউজিল্যান্ডও হাঁটতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু এদিন সব জল্পনা নস্যাৎ করলেন নিউজিল্যান্ডের করোনা মোকাবিলা বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করতে চাই না। বরং ধীরে চলো নীতি নিচ্ছি। যাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় আটকে পড়েছেন তাঁরা জানুয়ারি নাগাদ দেশে ফিরতে পারবেন।’