নিজস্ব প্রতিনিধি: পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা খর্ব করা নিয়ে চূড়ান্ত সঙ্ঘাতে জড়ালেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা খর্ব করা নিয়ে বিল পাশ করেছিল সে দেশের পার্লামেন্ট। এর পর সেই বিল পাঠানো হয়েছিল প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে। কিন্তু শনিবার তিনি সেই বিল ফেরত পাঠিয়ে দিলেন আবার পার্লামেন্টে।
উল্লেখ্য গত ৩০ মার্চ পাকিস্তানের পার্লামেন্ট প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা খর্ব করতে বিলটি পাস করেছিল। বিলের লক্ষ্য পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতিকে স্বতন্ত্রভাবে স্বতঃপ্রণোদিত বিজ্ঞপ্তি জারির ক্ষমতা ছেঁটে ফেলা। প্রথমে ২৮ মার্চ মন্ত্রিসভা দ্বারা বিলটি অনুমোদন করা হয়। এরপর পাকিস্তানের আইন ও বিচার সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির প্রস্তাবিত কিছু সংশোধনীর পর জাতীয় পরিষদে এটি পাস হয়। পাশাপাশি সাংবিধানিক বিষয়ে শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গঠনের কথা বলা হয়েছে বিলে। কিন্তু শনিবার সেই বিল ফেরত পাঠিয়ে দিলেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। বিলটি ফেরত পাঠানোর সঙ্গে কারণ হিসাবে প্রেসিডেন্ট বিশদ জবাবে বলেছেন, সংবিধান অনুসারে এই বিলটি ফিরিয়ে দেওয়া উপযুক্ত এবং সঠিক বলে মনে করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঘটনার সূত্রপাত হয়। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আটা বান্ডিয়াল পাক পাঞ্জাব প্রদেশ ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় নির্বাচন নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর। সেদিনের পর থেকে পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে।