আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত ৪ নভেম্বর রুশ সংহতি দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তাঁর গলায় শোনা গেল ভারতীয়দের প্রতিভার প্রসস্তি। পুতিন দৃড়তার সঙ্গে জানিয়েছেন, গত কয়েকদশক ধরে ভারত যে দ্রুততার সঙ্গে উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে, তার তারিফ না করে পারা যায় না। পাশাপাশি এও বলেছেন, আগামীদিনে ভারতের সর্বক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। মস্কো-কিয়েভের সংঘাতের আবহে এই প্রথম রুশ প্রেসিডেন্টের মুখে শোনা গেল ভারতের প্রশংসা।
ঠিক কী বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তাঁর বয়ানের ভাবানুবাদ করলে দাঁড়ায় এইরকম।
ভারতের দিকে তাকিয়ে দেখুন। ওই দেশে প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটেছে। আর সেই প্রতিভার দৌলতে ওই দেশ আজ উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে প্রতিভা সম্পন্ন ভারতীয়দের প্রশংসা না করে পারা যাচ্ছে না। দেশে জনসংখ্যা একশো কোটির ওপরে। এই বিরাট জনসংখ্যা সত্ত্বেও ভারত এই কয় বছরের মধ্যে যেভাবে নিজেদের উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছে, তার তারিফ না করে পারা যায় না। এই প্রসঙ্গে পুতিন রুশ-ভারত মৈত্রীর সম্পর্কেরও কথাও তুলে ধরেন।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ঔপনিবেশিক শাসনামলে শোষণ ও নিপীড়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার নামও। শোনান রুশ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা। বলেন, রাশিয়া বহু সংস্কৃতির দেশ। মূলত খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বসবাসের জায়গায়। তার পরেও রাশিয়া আজ বিশ্বের একটি অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন ফোনে কথা মোদি-পুতিনের, আলোচনায় উঠল ইউক্রেন প্রসঙ্গ