আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মেরুদণ্ড সোজা করে লডা়ই চালিয়ে যাওয়া ইউক্রেনের সঙ্গে সমঝোতাই চাইলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন, রুশ-ইউক্রেন সংঘাতের আবহে যে সব দেশ এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে সক্রিয় হয়েছিল, তারা যদি আবার উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসতে চায়, তাহলে মস্কো আপত্তি করবে না। তবে সম্মানজনক শর্তে রাশিয়া এই যুদ্ধের ইতি টানতে আগ্রহী। আগে যারা মধ্যস্থতার জন্য এগিয়ে এসেছিল, তারা এবার এগিয়ে আসবে কি না, সেটা তাদের বিষয়। তবে তারা মধ্যস্থতায় এগিয়ে এলে রাশিয়া আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি। প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই বার্তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ সেনা অভিযান শুরু করেছিল, সে উদ্দেশ্য সঠিক। অভিযান ঠিক পথেই এগোচ্ছে। রাশিয়ার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল আমার কাঁধে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে রুশ সেনা পালন করেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন আচমকাই কেন সমঝোতার প্রস্তাব দিলেন, তা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, রাশিয়া এর আগেও ইউক্রেনের সঙ্গে সমঝোতা চেয়েছিল। কিন্তু কিয়েভ এবং পশ্চিমের রাষ্ট্ররা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
পুতিনের এই বিবৃতি এল এমন সময় যেদিন কিয়েভে ক্রিশমাসেও হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০জন।