আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশিষ্ট লেখক সলমন রুশদি (Salman Rushdie) রয়েছেন ভেন্টিলেটরে। হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবর জানা গিয়েছে, একটি চোখ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত তাঁর লিভার। পুলিশ তাঁর আততায়ীকে চিহ্নিত করেছে। ধৃতের নাম হাদি মাতার (২৪)। তার বাড়ি নিউ জার্সির ফেয়ারভিউতে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বিবৃতি উদ্ধৃত করে পুলিশ (Police) জানিয়েছে, লেখকেক মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ বার ছুরির কোপ বসায়। ঘটনাস্থলে থাকা এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, প্রথম দিকে তাঁর মনে হয়েছিল এটা স্টান্ট। রুশদি আর্তনাদ করতে করতে স্টেজে লুটিয়ে পড়লে সকলের সম্বিত ফেরে। ঘটনাস্থলে থাকা এএফপির এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, ছুরি হামলার সঙ্গেই রুশদিকে ঘুসি আর লাথি মারতে থাকে ঘাতক। পুলিশ এই অতর্কিত হামলার কারণ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। জেরা চলছে আততায়ীকে।
হাসপাতাল (hospital)সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, রুশদির আঘাত রীতিমতো গুরুতর। ঘটনাস্থলে এক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। তিনিই লেখকের প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। রুশদির এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘‘রুশদির অবস্থা গুরুতর। তিনি সম্ভবত একটি চোখ হারাতে চলেছেন। হামলা চালানোর ফলে তাঁর হাতের স্নায়ু ছিঁড়ে গিয়েছে এবং তার যকৃৎ ছুরির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত।’’
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান রুশদির লেখা বিতর্কিত বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর কারণেই হামলা চালানো হয়েছে ৭৫ বছর বয়সি লেখকের উপর। এই বইয়ের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানাও জারি করে ইসলামি কট্টরপন্থী সংগঠন।