নিজস্ব প্রতিনিধি: এপার বাংলায় যখন উৎসবের মেজাজ ঠিক তখনই ওপার বাংলায় জ্বলছে। ভাঙচুর, ধ্বংস করা হচ্ছে, পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মন্দির, দেবতাদের মূর্তি। খুন করা হচ্ছে হিন্দুদের, যার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিল বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অর্থাৎ হিন্দুরা। সেই ঘটনায় তীব্র নিন্দার মুখে পড়ে গ্রেফতারি ও সাজা দিলেও চুপ করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশেষে বৃহস্পতিবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বাংলাদেশের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে কোরান রাখা ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে, সে পলাতক। খোঁজ চলছে খুব দ্রুতই সকলের নামের তালিকা দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ‘অন্য ধর্মকে অবমাননার শিক্ষা ইসলাম দেয় না। কুমিল্লার ঘটনা বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাব, পবিত্র কোরান শরিফকে অবমাননা করেছে, অন্যের ধর্মকে অবমাননা করতে গিয়ে। বাংলাদেশের সংবিধানের চেতনা অসাম্প্রদায়িক। এখানে সকলে স্বাধীন ভাবে নিজেদের ধর্ম পালন করতে পারবে।’ বাংলাদেশের সরকারের তরফেও কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে গোটা ঘটনার বিরুদ্ধে। গত বুধবার ঢাকায় একটি শান্তি সমাবেশে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানান, ‘দেশে যারা ধর্মের নাম করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করছে, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।’
ঘটনা গুলির নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। তিনি প্রতিক্রিয়াতে বলেছেন, ‘আমাদের দেশের স্বাধীনতার জন্য মুসলমান-হিন্দু একসঙ্গে যুদ্ধ করেছে। এই দেশ সবার।’ বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমও এক সুরে বলেছেন, ‘সকল ধর্ম তাদের নিজ নিজ উৎসব-আয়োজন সুষ্ঠভাবে পালন করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এখানে সংখ্যলঘুদের আলাদা করে দেখার কোন কারণ নেই। আমরা সকলেই আপনজন। সকল ধর্মের অনুসারীদের সরকারের নিরাপত্তা দিতে হবে।’