আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসঙ্ঘের সঙ্গে সম্মুখসমরে তালিবান। কূটনৈতিক তরজার কারণ জাতিসঙ্ঘে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিকে কেন্দ্র করে। জাতিসঙ্ঘ সুহেল শাহিনকে তাদের প্রতিনিধি হিসেব নিয়োগ করে। সাধারণ সভার অধিবেশনে শাহিনের ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, শাহিনকে জাতিসঙ্ঘ আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে মানতে চাইছে না। তাদের বক্তব্য়, ঘানির আমলে আফগানিস্তান জাতিসঙ্ঘে তাদের প্রতিনিধি হিসেব নিয়োগ করেছিল গুলাম ইসাকজাইয়ে। সাধারণসভার অধিবেশনে আফগানিস্তানের তরফ থেকে বক্তব্য রাখার অধিকারী একমাত্র গুলাম ইসাকজাই। সুহেল শাহিন নয়।
জাতিসঙ্ঘের ওই প্রস্তাব পত্রপাঠ নাকচ করে দিয়ে তালিবান জানিয়ে দিয়েছে, গুলাম ইসাকজাই আফগানিস্তানের প্রতিনিধি নন, আফগানিস্তানে প্রতিনিধি সুহেল শাহিন। জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সভার অধিবেশনে সুহেল শাহিনকেই ভাষণ দিতে হবে।
জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানিয়েছেন, ‘আমরা আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে ঘানি সরকারের আমলে নিযুক্ত গুলাম ইসাকজাইকে মান্যতা দিতে রাজি। সুহেল শাহিনকে নয়। বক্তা হিসেবে তালিকায় নাম রয়েছে গুলাম ইসাকজাইয়ের। জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সভায় আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে বক্ত রাখার অধিকারী একমাত্র গুলাম ইসাকজাই। অন্য কেউ নয়। তালিবানকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘
সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, তালিবান সুহেল শাহিনকে জাতিসঙ্ঘে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনিত করার পর স্থায়ী সদস্যদেশের শীর্ষকর্তারা বৈঠকে বসে। সেখানে এই নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শীর্ষনেতাদের মতে, আফগানিস্তানে একটি নির্বাচিত সরকারকে গায়ের জোরে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে তালিবানরা। তালিবান সরকারকে আন্তর্জাতিক মহল স্বীকৃতি দেয়নি। সুতরাং, যে সরকারের স্বীকৃতি নেই, সেই সরকার মনোনীত কোনও প্রতিনিধিকে জাতিসঙ্ঘের মতো একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যায় না।
জাতি সঙ্ঘের ৭৬তম অধিবেশনে তালিবানকে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছিল।