এই মুহূর্তে




শঠে শাঠ্যং! মার্কিন পণ্যের উপরে ৮৪ শতাংশ কর চাপাল চিন




নিজস্ব প্রতিনিধি: সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কর যুদ্ধ তুঙ্গে চড়ছে। গতকাল মঙ্গলবারই চিনা পণ্যের উপরে ১০৪ শতাংশ কর আরোপের ঘোষণা করেছিল হোয়াইট হাউস। বুধবার তার পাল্টা হিসাবে মার্কিন পণ্যের উপরে অতিরিক্ত ৮৪ শতাংশ কর আরোপের ঘোষণা করল শি চিনফিংয়ের সরকার। পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছেও উন্মাদ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকেছে বেজিং।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার পরেই কর-যুদ্ধের ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যে সব দেশ মার্কিন পণ্যের উপরে অতিরিক্ত কর চাপায়, সেই সব দেশগুলির পণ্যেও তেমন কর চাপানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তা যে কথার কথা চিল না গত বুধবারই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিভিন্ন দেশের উপরে কর আরোপের ঘোষণা করেছেন। চিনের উপর ৩৪ শতাংশ, বাংলাদেশের উপর ৩৭ শতাংশ, পাকিস্তানের উপর ২৯ শতাংশ, ভারতের উপর ২৭ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) উপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া কম্বোডিয়ায় ৪৯ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৪৪ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৩৬ শতাংশ, তাইওয়ানে ৩২ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩২ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডে ৩১ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫ শতাংশ, জাপানে ২৪ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২৪ শতাংশ, ইসরায়েলে ১৭ শতাংশ, ফিলিপাইনে ১৭ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ১০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১০ শতাংশ, তুরস্ক, ব্রাজিল, চিলি, অস্ট্রেলিয়া এবং কম্বোডিয়ায় ১০ শতাংশ করে শুল্ক আরোপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর আরোপের পরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারে ধস নামে। দালাল স্ট্রিট, ন্যাসডাক, ডাউ জোন্স-কেউ রেহাই পায়নি। গত শুক্রবার বদলা নিতে মার্কিন পণ্যের উপরে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছিল চিনের স্টেট কাউন্সিলের ট্যারিফ কমিশন। সেই সঙ্গে অন্তত সাতটি খনিজ উপাদানের (রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস) রফতানি নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেয় চিন সরকার। তার মধ্যে রয়েছে গ্যাডোলিনিয়াম, ইট্ট্রিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। গ্যাডেলিনিয়াম এমআরআই-সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। ইট্রিয়াম ব্যবহার হয় মোবাইল ফোনের পর্দায়,ক্যামেরার লেন্স এবং আধুনিক ডিসপ্লে বোর্ডে। চিনের ওই পদক্ষেপে চচটে লাল হয়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার তিনি বেজিংকে পাল্টা কর প্রত্যাহারের জন্য ২৪ ঘন্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে চিন সরকার মার্কিন পণ্যের উপরে ৩৪ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে পাল্টা চিনা পণ্যের উপরে আরও ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে বলে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন। ওই হুঙ্কারের পরেও বেজিংয়ের তরফে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২৪ ঘন্টার সময়সীমা শেষ হতেই চিনা পণ্যর উপরে ১০৪ শতাংশ কর আরোপের ঘোষণা করা হয় হোয়াইট হাউসের তরফে। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই চিনা পণ্যের উপরে কর ১০ শতাংশ থেকে ১০৪ শতাংশে পৌঁছল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বেজিংয়ের তরফে বলা হয়েছিল ‘যত খুশি কর চাপাক আমেরিকা। আমরাও এর শেষ দেখে ছাড়ব।’ ওই হুঙ্কারের পরেই মার্কিন পণ্যের উপরে আরও ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত কর আরোপের ঘোষণা করা হয়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নাইজারে জঙ্গিদের হাতে অপহৃত ঝাড়খণ্ডের ৫ শ্রমিক, জয়শঙ্করের সাহায্য চাইলেন হেমন্ত সোরেন

ডিজিটাল স্ট্রাইক কেন্দ্রের, ১৬ পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ

ইরানে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০, নেপথ্যে কার হাত?

সবচেয়ে কম দামের মোটরসাইকেল বাজারে আনল এনফিল্ড

পহেলগাঁওকাণ্ড: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছেদের ঘোষণা ব্যবসায়ী সংগঠনের

ভারত ছাড়ার ধুম, কেন্দ্রের দাওয়াইয়ে হাজার হাজার লোক ফিরছেন পাকিস্তানে

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর