নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তোলার পিছনে আর্থিক কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছেন নীল ছবির নায়িকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। বৃহস্পতিবার ম্যানহাটন আদালতে ট্রাম্পের আইনজীবীরা শুনানিতে দাবি করেন, ‘অর্থের বিনিময়েই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন ড্যানিয়েলস।’ সেই অভিযোগ খন্ডন করে নীল ছবির নায়িকা বলেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের পিছনে অর্থের কোনও যোগসূত্র নেই। রিপাবলিকান পার্টির নেতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর সময়ে তাঁর ব্যবসা সম্পর্কেও কিছু জানতেন না।’
গত কয়েকদিন ধরেই ম্যানহাটন আদালতে নীল ছবির তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে দুজনের সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধের জন্য ট্রাম্পের দেওয়া ঘুষ মামলা নিয়ে শুনানি চলছে। গত সোমবারই বিচারক হুয়ান মারচান বিচার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা চালানোর জন্য প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এক হাজার ডলার জরিমানা করার পাশাপাশি জেলে পোরার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে স্টর্মি ড্যানিয়েলসে জেরা করার সময়ে ট্রাম্পের আইনজীবী অভিযোগ তোলেন, অর্থের জন্যই রিপাবলিকান নেতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু ওই অভিযোগ নস্যাৎ করেন পর্নস্টার।
পাল্টা ট্রাম্পের আইনজীবী বলেন, ‘তাহলে কেন ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ পাওয়ার কথা জানাননি। জবাবে স্টর্মি বলেন, তখন তার হাতে আর সময় ছিল না।’ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে নীল ছবির নায়িকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে লড়ার সময়ে পর্ন স্টারকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছিলেন। পরে অবশ্য ওই অর্থ পাওয়ার কথা নিজেই প্রকাশ করেন স্টর্মি ড্যানিয়েলস। যদিও পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবারও তিনি আদালতে দাবি করেছেন, স্টর্মির সঙ্গে কোনও যৌন সম্পর্কে জড়াননি।