আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফেসবুক-টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করায় তাঁর বয়ে গেছে। তাই, এবার নিজেই আনছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া। ট্রাম্পের এই সোশ্যাল মিডিয়ার নাম ট্রুথ, যার পথ চলা শুরু হবে আগামী মাসে।
পরিকল্পনা ঘোষণার পাশাপাশি ফেসবুক-টুইটারকে ধমকেছেন। নিজেকে সবার প্রিয় প্রেসিডেন্ট সম্বোধন করে তিনি বলেন, “টেক জায়ান্টদের একছত্র অধিকারকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আসছে নতুন প্ল্যাটফর্ম, যা হবে নিরপেক্ষ। এই প্ল্যাটফর্ম আমার তৈরি। সকলেই তাঁদের মতামত জানাতে পারবেন।” ফেসবুক-টুইটারের প্রতি তাঁর বার্তা, “এমন একটা বিশ্বে বাস করি যেখানে তালিবানের মতো একটি কুখ্যাত সংগঠনের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়নি। অথচ, আপনাদের প্রিয় প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কী হাস্যকর। ”
জানা গিয়েছে, আগামী মাসেই কয়েকজন আমন্ত্রিত সদস্যদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ তার যাত্রা শুরু করবে। মালিকানা ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনলজি গ্রুপের (টিএমটিজি) ।
সংস্থার তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়া, যার মালিকানা ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপের, আগামী মাসেই কয়েকজন আমন্ত্রিতকে নিয়ে শুরু করবে যাত্রা। আপনাদের সকলকে স্বাগত। ”
কিন্তু কেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকে ফেসবুক-টুইটারের সঙ্গে ট্রাম্পের খটাখটি লেগে যায়। আর সেটা চরমে পৌঁছয় ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার পর। সেই হামলার প্রতিবাদে ফেসবুক-সহ একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্লক করে দেয়। আর সেটা ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে এবার নিজেই খুলে বসলেন সোশ্যাল মিডিয়া।