আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ঘটে গেল বড় ধরনের পালাবদল।
বিবিসির এক চিত্র সাংবাদিককে মারধর, হেনস্থার প্রতিবাদে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন। জানিয়ে দিলেন, বেজিংয়ের সঙ্গে ব্রিটেনের স্বর্ণযুগের সম্পর্কে ইতি টানা হল। আগামীদিনে বেজিংয়ের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গী বা বিদেশনীতি কী হবে, সেটাও খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্ত চিন রীতিমতো অস্বস্তিতে।
চিনে নানা প্রান্তে নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করায় জারি করা হয়েছিল কড়া বিধিনিষেধ। সংক্রমিত এলাকায় জারি করা হয় লকডাউন। কড়া বিধিনিষেধের জেরে চিনবাসীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। বিভিন্ন প্রদেশের মানুষ রাস্তায় নেমে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়। তেমনই একটি বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন বিবিসির এক চিত্র সাংবাদিক। পুলিশ ওই চিত্র সাংবাদিককে বেধরক পেটায়। রাস্তা থেকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে যায় লকআপে। সেখানেও তাকে মারধর করে। পরে অবশ্য ছেড়ে দেয়।
লন্ডনের লর্ড মেয়র ব্যাঙ্কোয়েট হলে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণে বিবিসির সাংবাদিককে মারধর, হেনস্থার বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন, এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ডেভিড ক্যামেরুনের আমলে চিনের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক এক উচ্চতায় পৌছে গিয়েছিল। সেটাকে স্বর্ণযুগ বলা যেতে পারে। সেই স্বর্ণযুগের ইতি ঘটল। আগামীদিনে চিনের ক্ষেত্রে ব্রিটেনের দৃষ্টিভঙ্গী বদলে যাবে। এই খবর লেখা পর্যন্ত বেজিংয়ের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন টার্গেট ইমরান, পাক সেনা -প্রধান প্রাক্তন আইএসআইকর্তা আমির মুনির