নিজস্ব প্রতিনিধি: মাত্র ৩৪ বছরেই প্রয়াত বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষ জেসন হোল্টন। প্রায় ৩১৭ কেজি ওজন ছিল তাঁর। একাধিক অঙ্গে ব্যর্থতার কারণে অকালেই চলে গেলেন জেসন হোল্টন। তাঁর আবাসস্থল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্বের সবচেয়ে মোটা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন জেসন হোল্টন। চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হলনা। জেসনের মা, লেইসার গণমাধ্যমকে বলেছেন যে, জেসন হোল্টনের কিডনিই প্রথম অঙ্গ, যা সবার আগে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। তাই ডাক্তাররাও আল্টিমেটম দিয়ে দিয়েছিলেন।
তাঁরা বলেছিলেন যে, ‘আমার ছেলের আয়ু আর এক সপ্তাহ। আমি ভেবেছিলাম ডাক্তাররা তাঁকে আবার বাঁচাতে সক্ষম হবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় এটি সম্ভব হল না।” আসলে জেসন অতিরিক্ত মোটা ছিলেন, সেটাও তাঁর মৃত্যুর একটি কারণ। হোল্টনের গোটা জীবনটা তাঁর বাড়িতেই সীমাবদ্ধ ছিল। বেশিরভাগ সময়েই তিনি অসুস্থ থাকতেন এবং শয্যাশায়ী থাকতেন। তাঁর শ্বাসকষ্টেরও সমস্যা ছিল। সূত্রের খবর, বাবার মৃত্যুর পর থেকেই অত্যধিক খাওয়ার অভ্যাস ছিল জেসন হোল্টনের। তিনি দৈনিক ১০,০০০ ক্যালোরি খেতে পারতেন।
গতবছর একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি সাধারণভাবে আমার সময় শেষ। আমি এখন ৩৪ বছর বয়স।” শোনা যায়, ২০২০ সালে হোল্টন তাঁর তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বেঁচেছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করতে ৩০ টিরও বেশি দমকল কর্মী এবং একটি ক্রেনের প্রয়োজন হয়েছিল। অগ্নিপরীক্ষার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই সাক্ষাৎকারে হোল্টন বলেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে বিধ্বংসী সময় ছিল ওটা। আমি দেখলাম বাইরে জড়ো হওয়া বিশাল জনতার চোখ আমাকে খুঁজছে। আমার একটি হরর সিনেমার মতো মনে হয়েছিল। এমনকি আমি আমার মাকে এটি না দেখার জন্য সতর্ক করেছিলাম।” এছাড়াও তিনি অনেকবার মিনি-স্ট্রোক এবং রক্ত জমাট বাঁধার শিকার হয়েছিলেন। শোনা গিয়েছে, আর কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর জন্মদিন ছিল। কিন্তু তার আগেই মারা গেলেন জেসন। একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন জেসনের মা।